শেখর চন্দ্র, আসানসোল: কয়লা পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা ও তার সঙ্গী রত্নেশ ভার্মা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আবেদন করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এই আবেদনের বিষয়ে এদিন চূড়ান্ত রায় দেয়নি আদালত। তবে মামলার তদন্তকারী আধিকারিকের কাছ থেকে দুজনের সম্পত্তির যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারও সিবিআইয়ের একটি দল পুরুলিয়ার ভামুড়িয়ার বাড়িতে লালার খোঁজে যায়। যদিও এদিন তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, বারবার নোটিস দিয়ে ডেকে পাঠানোর পরে হাজিরা না দেওয়ায় বেআইনি কয়লা পাচার মামলার মূলচক্রী অনুপ মাজিকে ‘ফেরার’ ঘোষণা করেছিল আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। একই তকমা দেওয়া হয়েছিল লালার অন্যতম সহযোগী রত্নেশ ভার্মাকে। গত ১১ জানুয়ারি ৮২ ধারায় এই মর্মে একটি নোটিস জারি করেছিলেন আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। নোটিসে বলা হয়, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দুজনকেই আসানসোল সিবিআই আদালতে হাজিরা দিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে হাজিরা না দিলে, আইন মোতাবেক তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।
গত ১৪ জানুয়ারি সেই নোটিস প্রথমে সিবিআইয়ের ৯ জনের একটি দল পুরুলিয়ার নিতুরিয়ার ভামুরিয়াতে লালার বাড়ির দেওয়ালে লাগিয়ে দিয়ে এসেছিলেন। একইভাবে, সেদিন সকালে সিবিআইয়ের ৪ জন অফিসারের একটি দল হীরাপুরের বড়তোড়িয়ায় রত্নেশ ভার্মার বাড়িতে আসে। সেখানেও সিবিআইয়ের আধিকারিকরা রত্নেশ ভার্মাকে পায়নি। তার বাড়ির দেওয়ালে নোটিস সাঁটিয়ে দিয়ে আসেন তদন্তকারীরা।
প্রথমে, আসানসোলের সিবিআই আদালত এই দুজনের নামে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। তাদেরকে নোটিস দিয়ে সিবিআই নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠিয়েছিল। তাদের বাড়ি ও অফিসেও সিবিআইয়ের অফিসাররা হানা দিয়েছিল। কিন্তু তাদেরকে পায়নি সিবিআই। এতকিছুর পরেও তারা হাজিরা দেয়নি। তাই এবার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তর দিকেই এগোতে চাইছে সিবিআই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.