প্রতীকী ছবি
অর্ণব আইচ: রাজ্য তথা দেশের মাটিতে বসে আন্তর্জাতিক সাইবার প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করল সিবিআই। অপারেশন চক্র-৪ নামের অভিযানে জার্মান নাগরিকদের টার্গেট করে প্রতারণার চাঁই বাংলার রাহুল সাউকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০২১ সাল থেকে এই প্রতারণা চক্র চলছিল বলে দাবি। এই চক্রকে ভাঙতে জার্মান প্রশাসনের সাহায্য নেয় সিবিআই।
সিবিআইয়ের আন্তর্জাতিক অপারেশন বিভাগ ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ তারিখ রাহুল সাউ, শুভম শর্মা, রাজীব বুধিরাজা ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। তাঁদের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের ধরতে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লি, কলকাতা, শিলিগুড়ির ৬টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালান তদন্তকারীরা। আন্তর্জাতিক প্রতারণার চক্রের অন্যতম মূল চক্রী রাহুলকে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তাঁর থেকে ৭টি মোবাইল, ১টি ল্যাপটপ, অপরাধমূলক বিভিন্ন নথি উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতকে রাউস অ্যাভিনিউ জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে।
সিবিআই আধিকারিকরা দার্জিলিয়ে একটি বেআইনি কল সেন্টারের হদিশ পেয়েছে। মাটিগাড়ার ওয়েবেল আইটি পার্কে কল সেন্টারটি চলত। ২৪টি হার্ড ডিস্ক, একাধিক ডিজিটাল প্রমাণ ভুয়ো কল সেন্টার থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
কীভাবে চলত এই প্রতারণা চক্র? সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারকরা বেছে বেছে জার্মান নাগরিকদের টার্গেট করত। প্রযুক্তি সহায়তা পরিষেবা প্রদানের অজুহাতে বিদেশিদের মগজ ধোলাই করে তাঁদের ল্যাপটপ, কম্পিউটারের অ্যাক্সেস নিয়ে নিতেন অভিযুক্তরা। তারপর সেই জার্মানদের বোঝানো হত তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে। এইভাবে একাধিক বিদেশি নাগরিকদের ভারতীয় মূল্যে প্রায় ৫ কোটি, ৮৭ লক্ষ,২৫ হাজার, ৬০০ টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটে পাঠাতে বাধ্য করে। তারপরই সেই টাকা হাওয়া। প্রতারিত ব্যক্তিরা আর কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতেও পারেনি।
তদন্তে নেমেই একাধিক ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহ করতে থাকেন তদন্তকারীরা। একের পর এক অভিযুক্তের সন্ধান পায় সিবিআই। পরে সুযোগ বুঝে গ্রেপ্তারি। ধৃতদের আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে সিবিআই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.