অর্ণব দাস, বারাকপুর: কাউন্সিলরের হাতে যুবক খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর সিসিটিভি ফুটেজ। দেখা যাচ্ছে, রাত ৮ টা বেজে ১৬ নাগাদ টোটোতে করে বাড়ি সামনে নামেন পার্থ চৌধুরী। এর পর হেঁটে বাড়িতে ঢোকার মুখেই তিনি নিকাশি নালায় পরে যান। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বারাকপুর বিএন বসু হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এদিকে সকাল থেকে অভিযোগ উঠছিল পুজো কমিটি দখল নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরের দলবলের হাতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতের দিকে, বারাকপুরের (Barrackpore) ওল্ড ক্যালকাটা রোডের সুকান্তপল্লী এলাকায়। মৃত তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী এখানকার একটি ক্লাবের সদস্যা। দাবি করা হয়, এই ক্লাবের দুর্গাপূজার (Durga Puja) কমিটি গঠন নিয়ে রবিবার সন্ধের পর বৈঠক ছিল। অভিযোগ, পুজো কমিটির দখল নেওয়ার জন্য স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মৌসুমী মুখোপাধ্যায়, তাঁর স্বামী-সহ দলবল নিয়ে বৈঠকে হাজির হয়। কমিটি গঠনের সময় জোর করে বৈঠক ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। পরবর্তীতে ভিতরে মারধর করা হয় পার্থ চৌধুরীকে। যার জেরে তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ বলছে অন্য কথা। দেখা যায়, হেঁটে বাড়িতে ঢোকার মুখেই পার্থবাবু নিকাশি নালায় পরে যান। যার জেরে মৃত্যু।
খবর পেয়ে হাসপাতালে যান বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, মৃতের শরীরে বাহ্যিক কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এই প্রসঙ্গে এদিন উত্তমবাবু বলেন, পরিবারের যে অভিযোগ ছিল তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, সিসি ক্যামেরার ফুটেজেই সেটা দেখা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার রাতে পার্থ চৌধুরী তালপুকুর থেকে টোটোয় করে বাড়িতে যায়। বৈঠক স্থান থেকে সেখানের দূরত্ব কমবেশি ২০০-২৫০মিটার। মাঝে কোথাও দাঁড়ায়নি। গোটা অভিযোগ মিথ্যা। অনেকে সাক্ষীও দিয়েছে। তাই এনিয়ে কোনও অভিযোগও দায়ের হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.