Advertisement
Advertisement
Air pollution

নেই পুরবোর্ড, ১৪ পুরসভায় কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধে স্থগিত বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণের কাজ

এনক্যাপ ফান্ডের টাকা বন্ধ হয়ে গিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত দুর্গাপুর-সহ একাধিক পুরসভা।

Central fund of NCAP stopped as there are boards in fourteen municipalities in West Bengal
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 10, 2025 2:06 pm
  • Updated:April 10, 2025 2:08 pm  

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: নির্বাচিত পুরবোর্ড নেই। তাই রাজ্যের ১৪টি পুরসভায় কেন্দ্রীয় তহবিল (এনক্যাপ) বরাদ্দ বন্ধ। বিপাকে পুরসভাগুলি। বন্ধ হয়ে যেতে পারে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণের কাজ। নির্বাচিত পুরবোর্ড না থাকায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প ‘এনক্যাপ’ ফান্ড (ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম বা জাতীয় বায়ু পরিষ্কার কর্মসূচি) বন্ধ করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের ১৪টি পুরসভার এনক্যাপ ফান্ড বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। দূষণ সংক্রান্ত উন্নয়নের কাজ নিয়ে মাথায় হাত পুর আধিকারিকদের। সেই পুরসভাগুলি হল- হলদিয়া, কুপার্স ক্যাম্প, দুর্গাপুর, পাঁশকুড়া, হাওড়া, সাঁইথিয়া, চন্দননগর, তাহেরপুর, দার্জিলিং, ঝালদা, পানিহাটি, চাঁপদানি, এগরা, বেলডাঙা।

দুর্গাপুর নগর নিগমের মেয়াদ শেষ হয় ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। তারপর থেকে পাঁচ সদস্যের প্রশাসকমণ্ডলী নগর নিগম পরিচালনা করছে। দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকাও আসছে না। এবার গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো এনক্যাপ ফান্ডের টাকাও বন্ধ হয়ে গেল। জানা গিয়েছে, এই ফান্ডের টাকায় বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কাজ করা হয়। বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বসানো হয়। যেসব রাস্তা (মোরাম বা ঢালাই) থেকে ধুলো ওড়ে, সেই সব রাস্তা সংস্কার বা পিচরাস্তা করা যায় ওই কেন্দ্রীয় ফান্ড থেকে।

Advertisement

বর্তমানে দুর্গাপুর নগর নিগমের বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কয়েকটি ছোট বড় রাস্তার কাজ চলছে। কেন্দ্রীয় ফান্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই রাস্তার কাজগুলি কীভাবে হবে, তা নিয়ে বিপাকে পুর প্রশাসক বোর্ড। দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “আমরা নগর ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের কাছ থেকে মৌখিকভাবে জানতে পেরেছি যেসব পুরসভাগুলিতে নির্বাচন হয়নি সেগুলিতে আর এনক্যাপ থেকে কোনও ফান্ড দেওয়া হবে না। তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত নির্দেশ আসেনি। এই ফান্ড বন্ধে উন্নয়নের কাজে চরম সমস্যায় পড়তে হবে। রাস্তাঘাট তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হবে। পর্যাপ্ত ফান্ড না এলে আমাদের ফান্ড বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। কীভাবে উন্নয়নের কাজ গুলি করা যায়, তা নিয়েও আমাদের বৈঠক হয়েছে। আমরা কখনও ৮ কোটি, কখনও ১০ কোটি, কখনও ১৫ কোটি টাকার ফান্ড পেয়েছি। কিন্তু ২০২৩-২০২৪ এবং ২০২৪-২০২৫ অর্থবর্ষে কোনও ফান্ড পাইনি। শেষবার এনক্যাপ ফান্ডে ৪৪ কোটি টাকা এসেছিল। সেই ফান্ডের মাধ্যমে প্রচুর কাজ করেছি। এখন সেই ফান্ডের টাকাও শেষ।”

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ নভেম্বর দুর্গাপুরের একিউআই (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) ছিল – ৪৫৩.৮, দিল্লির ৩৯৪। অর্থাৎ দিল্লিকে টপকে গিয়েছিল দুর্গাপুর। ওইদিন দুর্গাপুরের বাতাসে প্রতি ঘন মিটারে ১০ মাইক্রোমিটার ধূলিকণার পরিমাণ ছিল – ২৫২২.৫ মাইক্রোমিটার ধূলিকণার পরিমাণ ছিল-১১২। বুধবার দুর্গাপুরের একিউআই (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) ছিল ১০৮। বাতাসে প্রতি ঘন মিটারে ১০ মাইক্রোমিটার ধূলিকণার পরিমাণ ছিল-১৫০ ও ২.৫ মাইক্রোমিটার ধূলিকণার পরিমাণ ৩৮।

বিজেপির বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, “নগর নিগমে ভোট হচ্ছে না। হারার ভয়ে ভোট করছে না শাসকদল। চরম দুর্নীতি হচ্ছে। সেই জন্যই ফান্ড আটকে দেওয়া হচ্ছে। পাঁচ সদস্যের প্রশাসকমণ্ডলীর কিছু কাজ করতেই পারছে না। সাধারণ মানুষ কোনও পরিষেবাই পাচ্ছেন না।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement