সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বিজেপির (BJP) শহিদ সম্মান যাত্রায় ফের অশান্তি। এবার ঘটনাস্থল বর্ধমানের গলসির চান্নাগ্রামের হলদি বেপাড়া। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারকে কালো পতাকা দেখানো হয়। কিষাণ খেতমজুর সেলের বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের সভাপতির নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতৃত্বকে হেনস্তার প্রতিবাদে কালো পতাকা প্রদর্শন বলেই দাবি বাংলার শাসকদলের।
মঙ্গলবারই বর্ধমানে পৌঁছে গিয়েছিলেন সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar)। বুধবার বর্ধমান থেকে বীরভূম যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। যাচ্ছিলেনও তিনি। গাড়িতে চড়ে যাওয়ার সময় তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। তৃণমূলের কিষাণ খেতমজুর সেলের বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি রাজেন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারকে কালো পতাকা দেখানো হয়। তিনি বলেন, “ত্রিপুরায় (Tripura) তৃণমূল নেতৃত্বকে হেনস্তা করা হচ্ছে। তারই প্রতিবাদে আমাদের বিক্ষোভ।” বিজেপি নেতৃত্বকে ‘পরিযায়ী’ বলেও তোপ দেগেছেন ওই তৃণমূল নেতা। এ প্রসঙ্গে পালটা তোপ দাগেন বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক শ্যামল রায়। তিনি বলেন, “শাসকদল অত্যাচার করছে। ভোট পরবর্তী হিংসায় এখনও পর্যন্ত ৪০ জনের উপর বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। শহিদ পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এবং শহিদদের সম্মান জানাতে নির্দিষ্ট কর্মসূচি চলবেই।”
এদিকে, মঙ্গলবারই শহিদ সম্মান যাত্রা কর্মসূচি অনুযায়ী বিরাটির গৌরীপুরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur), জয়প্রকাশ মজুমদার-সহ (Jay Prakash Majumdar) বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থক। প্রথমে গৌরীপুর কালীবাড়িতে পুজো দেন শান্তনু ঠাকুর। সেখান থেকে কর্মসূচি শুরুর কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এরপরই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক বিজেপি কর্মীকে আটক করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় শান্তনু ঠাকুর, জয়প্রকাশ মজুমদারকেও। বুধবারও ফের শহিদ সম্মান যাত্রায় অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হল।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.