রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: ইতিমধ্যেই কালনার চেনম্যানের কীর্তিকলাপ ফাঁস হয়েছে। আপাতত শ্রীঘরে সে। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ। এদিন সকালে ধৃত কামরুজ্জানকে নিয়ে কালনা-সহ বিভিন্ন ঘটনাস্থলে যান তদন্তকারীরা। নারীবিদ্বেষী মনোভাব, যৌন লালসা না কি লুঠপাটের উদ্দেশ্যেই এই খুন, তা বুঝতে উঠতে পারছে না পুলিশ।
দীর্ঘদিন তল্লাশির পর রবিবার সিরিয়াল কিলার চেনম্যান কামরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাকে ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জানা গিয়েছে, নিজের কৃতকর্মের জন্য আদৌও অনুতপ্ত নয় ওই যুবক। বরং সোমবার রাতে অন্যান্য বন্দীদের সঙ্গে খোশমেজাজে গল্প করেছে সে। মঙ্গলবার সকালেও স্বাভাবিকই ছিল কামরুজ্জামান। প্রাতঃরাশের পর অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে বেরিয়ে পড়েন তদন্তকারীরা।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে ২৭ মে কালনা চত্বরে খুন হওয়া এক মহিলার বাড়িতে যান তদন্তকারী আধিকারিকেরা। সেখান ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি খুনের আগে যে দোকান থেকে চেন কিনত কামারুজ্জামান, সেখানেও যান তদন্তরকারীরা। দোকানদার জানিয়েছেন, প্রতিবার একটি নির্দিষ্ট মাপের চেনই কিনত কামরুজ্জামান। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় অনেক ঘটনার কথাই স্বীকার করেছে সে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, মানসিক সমস্যা ছিল ওই ব্যক্তির।
প্রসঙ্গত, কয়েকবছর ধরেই গলায় চেনের ফাঁস দিয়ে ও মাথায় আঘাত করে একাধিক মহিলাকে খুন করা হয়েছিল বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকায়। সেই ঘটনার জট খোলে রবিবার। এদিন ‘সিরিয়াল কিলিং’য়ের নাটের গুরু ‘চেন কিলার’কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্যও পান তদন্তকারীরা। সেই তথ্য ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেই খুনের কারণ খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.