প্রতীকী ছবি
সুমন করাতি, হুগলি: ইটের আঘাতে খুন হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সেই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কাশিনাথ মণ্ডল নামে অভিযুক্তকে। মামলায় দোষী সাব্যস্ত হল সে। যাবজ্জীবন সাজা শোনাল চন্দননগর আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। দীর্ঘ ১৪ পর ওই খুনের ঘটনায় সাজা হল বলে খবর।
জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের ২৬ জুলাই হুগলির তারকেশ্বর বাসস্ট্যান্ডে দুই প্রৌঢ়ের মধ্যে বচসা হয়েছিল। দুজনের বাড়িই তারকেশ্বর মুক্তারপুর এলাকায়। বচসা চলাকালীন রাস্তায় পড়ে থাকা ইট দিয়ে আঘাত করা নবকুমার খাঁড়া নামে ওই ব্যক্তিকে। সেই আঘাতে মৃত্যু হয় তাঁর। খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ কাশিনাথ মণ্ডল নামে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের ২৬ জুলাই আমতলা স্ট্যান্ডে নবকুমার খাঁড়া ও কাশীনাথ মণ্ডলের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বিবাদ চলছিল। তাই দেখে স্থানীয় দুই দোকানদার স্বপন সামন্ত এবং সুধাংশুশেখর খাঁড়া তাঁদের থামিয়ে দিয়েছিলেন। অভিযোগ, কিন্তু তারপরেও নিরস্ত্র হয়নি কাশিনাথ। প্রথমে নবকুমারকে কাঠ দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে আধলা ইট দিয়ে তাঁকে মাথায় আঘাত করে। স্থানীয়রা রক্তাক্ত নবকুমারকে উদ্ধার করে তারকেশ্বর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি। তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্ত কলকাতা হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে মুক্ত ছিল।
চলতি বছর ৭ মে চন্দননগর আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে এই খুনের মামলা উঠেছিল। বিচারক জগৎজ্যোতি ভট্টাচার্য অভিযুক্তকে দ্রুত হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে ফের কাশিনাথ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মোট ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আজ শনিবার বিচারক ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন। এছাড়াও ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর বিচার পেয়ে খুশি মৃতের পরিবার। সাজা ঘোষণার পর নবকুমারের ছেলে তরুণকুমার খাঁড়া বলেন, “প্রতিবেশী কাশীনাথের সঙ্গে কোনও শত্রুতা ছিল না। নেহাতই রাগের বসে বাবাকে খুন করা হয়। এর আগেও একজনকে ছুরি মারায় অভিযুক্ত ছিল সে।সেই যাত্রায় ওই ব্যক্তি বেঁচে গেলেও বাবাকে খুন করার উপযুক্ত শাস্তি পেয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.