দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ফের বন্ধ হয়ে গেল চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিল। রবিবার সকালে কারখানার গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দিল কর্তৃপক্ষ। কর্মহীন গোন্দলপাড়া জুটমিলের ৫ হাজার শ্রমিক। মিল কর্তৃপক্ষের দাবি, শ্রমিক অসন্তোষ ও উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে মিল আর চালানো যাচ্ছে না। যদিও জুটমিল কর্তৃপক্ষের দাবি মানতে নারাজ শ্রমিকরা।
[এবার রজ্জুপথেই ব্যান্ডেল চার্চ থেকে যাওয়া যাবে ইমামবাড়া]
হুগলি নদীর দুই পাড়ে একে পর এক জুটমিল। কিছুটা এলাকা উত্তর চব্বিশ পরগনায় আর বাকিটা হুগলি জেলায়। তবে এই গোটা এলাকাটি শিল্পাঞ্চল নামেই পরিচিত। কিন্তু, সস্তার নাইলনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা পিছিয়ে পড়ছে পাটের তৈরি বস্তা ও অন্যন্য সামগ্রী। শিল্পের কাঁচামাল বা অন্যান্য সামগ্রী পরিবহণে এখন নাইলনের কদর বেশি। জুটমিলগুলির অবস্থা ভাল নয়। আয় কমেছে অনেকটাই। ফলে অতিরিক্ত সময় কাজ করেও ঠিকমতো মজুরি পাচ্ছেন না শ্রমিকরা। লোকসান ঠেকাতে মাঝেমধ্যে মিল বন্ধ করে দিচ্ছেন মালিকপক্ষ। বিপাকে পড়ছেন শ্রমিকরা। ঠিক যেমনটা ঘটল চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিলে। রবিবার সকালে শ্রমিক অসন্তোষ ও কম উৎপাদনের কারণ দেখিয়ে মিলে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দিল কর্তৃপক্ষ। রাতারাতি কর্মহীন হয়ে পড়লেন পাঁচ হাজার শ্রমিক। সকালে কাজে যোগ দিতে এসে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কে নোটিস দেখতে পান শ্রমিক। মিল মালিকের সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েন চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিলের শ্রমিকেরা।
[উলুবেড়িয়ায় দুই অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর রহস্যমৃত্যু, রেললাইন থেকে উদ্ধার দেহ]
শ্রমিকদের দাবি, গত কয়েক মাসে গোন্দলপাড়া জুটমিলে উৎপাদন কমেছে ঠিকই। তবে শ্রমিক অসন্তোষ বা অন্য কোনও কারণে নয়, মিলে কাঁচামালের জোগান নেই। তাই অতিরিক্ত সময় কাজ করেও পর্যান্ত সামগ্রী উৎপাদন করতে পারছেন শ্রমিকরা। উলটে বাড়তি মজুরিও পাচ্ছেন না তাঁরা। বস্তুত, চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিল এই প্রথম বন্ধ হল, এমনটা নয়। এরআগেও বেশ কয়েকটি জুটমিলটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
[বিশৃঙ্খলার জের, বিশ্বভারতীর আম্রকুঞ্জে সমাবর্তন বন্ধের ভাবনা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.