রাজ্যে একের পর এক বিভিন্ন স্কুলে মিড-ডে মিলের বেহাল দশার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। কোথাও আবার দেখা গিয়েছে নিজেদের গাঁটের কড়ি খরচ করে খুদেদের পেটভরে খাওয়াচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। কী অবস্থা রাজ্যের বাকি স্কুলগুলির? চালচিত্র দেখতে পৌঁছে গেল সংবাদ প্রতিদিন.ইন।
পলাশ পাত্র, তেহট্ট: রাজ্যে মিড-ডে মিল নিয়ে যখন অভিযোগের অন্ত নেই, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে নদিয়ার বার্নিয়া অভয়নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা রীতিমতো পাত পেড়ে খাবার খায়। খাদ্যতালিকায় থাকে ডিম, মাংস থেকে শুরু বিভিন্নরকম সবজি। স্কুলের এই ভূমিকায় খুশি পড়ুয়া ও অভিভাবকরা।
যদিও শুরু থেকেই ছবিটা এমন ছিল না। ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় স্কুলটি। সেই সময় মাত্র দুটো ঘর ছিল। পড়ুয়ার সংখ্যাও ছিল কম। স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান সময়ের মতো ছিল না পরিস্থতি। পরে ২০১১ সালে স্কুলে যোগ দেন প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম। যোগদানের পর তিনি নিজের মতো করে স্কুলকে সাজাতে শুরু করেন। সর্বশিক্ষা মিশনের টাকা ও স্থানীয় বিধায়ক ও জনসাধারণের সহায়তায় স্কুলের দোতলা ভবন তৈরি করেন। বেড়েছে পড়ুয়া ও শিক্ষকের সংখ্যাও। পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে স্কুলেই শুরু করা হয় চাষ। সেই শাক-সবজি ব্যবহার করা হয় মিড-ডে মিলে। এছাড়া জলাধার তৈরি করে চাষ করা হয় শিঙি মাছ। প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রোটিনের কথা ভেবে মাসে দু’দিন মাংস ও সপ্তাহে একদিন ডিম, ভাত, খিচুড়ি, পাপড় ও বাকি দিনগুলি সবজি, ডাল, আলুপোস্ত, আলু-সয়াবিন খাওয়ানো হয়। স্কুলের বাগানের সবজিও ব্যবহৃত মিড-ডে মিলে।
তবে সমস্যাও রয়েছে। স্কুলের কোনও সিঁড়ি নেই। আর মিড-ডে মিলের ঘরে চেয়ার-টেবিলের ব্যবস্থা নেই। সমস্যার কথা শুনে স্থানীয় বিধায়ক তাপস সাহা ও তেহট্ট দুই বিডিও শুভ সিংহ রায় বলেন, বিষয়টি আমাদের জানান হলে অবশ্যই করার চেষ্টা করব। অর্থাৎ মিড-ডে মিলের খাবার নিয়ে যেখানে সমস্যার অন্ত নেই সেই সময়ে দাঁড়িয়ে এই স্কুল এক অনন্য নজির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.