পলাশ পাত্র, তেহট্ট: গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হওয়ার জন্য কোনও বাধাই বাধা নয়। সাত সমুদ্র তেরো নদীর পার থেকে দেশে ফিরে ইসকন মন্দিরের প্রধান স্বামী জয়পতাকা মহারাজ সোমবার এটাই প্রমাণ করলেন। অসুস্থতা সত্ত্বেও ভোট দিতে মায়াপুর গেলেন তিনি। ভোটও দিলেন।
সোমবার ছিল নদিয়া জেলার রানাঘাট কেন্দ্রের ভোট। নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ইসকন মন্দিরের প্রধান স্বামী জয়পতাকা মহারাজ এদিন রানাঘাটে পৌঁছান। নবদ্বীপ বিধানসভার শ্রীধাম মায়াপুর শ্রী সরস্বতী সিদ্ধান্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি ভোট দিতে যান। বয়স হয়েছে প্রায় সত্তরের উপর। স্বভাবতই শরীর ভেঙে গিয়েছে একেবারেই। কিন্তু গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হতে এসেছিলেন তিনি। ইসকনের অন্যান্য সন্ন্যাসীরা তাঁকে সাহায্য করেন৷
[ আরও পড়ুন: ভোটের দিনই কোলে এল ‘মমতা’, প্রিয় নেত্রীর নামে মেয়ের নামকরণ তৃণমূল কর্মীর ]
মুম্বই থেকে দিন দুই আগে তিনি কলকাতা আসেন মহারাজ। সেখানে ইসকনের ধর্মীয় উৎসবে যোগ দেন তিনি। তারপর রবিবার রাতে পৌঁছান নবদ্বীপে। সোমবার দুপুরে তিনি ভোট দিতে যাওয়ার জন্য বেরোন তিনি। গাড়ি করে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যান। গাড়ি থেকে তাঁকে শিষ্যদের সাহায্যে নামেন। তারপর হুইল চেয়ারে চেপে ভোটকেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছান। ভোট দিয়ে বেরিয়ে ফের গাড়ি করেই ইসকনে ফেরেন মহারাজ।
ইসকনের মুখপাত্র রমেশ মহারাজ জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই প্রধান স্বামী জয়পতাকা মহারাজ ইসকনের সঙ্গে যুক্ত। গভর্নিং বডিতে রয়েছেন তিনি। ধর্মের খাতিরে তিনি বিভিন্ন দেশে ঘুরেছেন। জন্ম তাঁর আমেরিয়ায়। কিন্তু এখন তিনি ভারতের নাগরিক। বয়স প্রায় ৭০-এর উপর। তাই শারীরিক সমস্যা রয়েছে। গুরুতর অসুস্থ তিনি। এদিন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে আসার সময়ও তাঁর মুখে ছিল মাস্ক। তবে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার তিনি প্রয়োগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। সেই সূত্রেই ভোটের আগে ইসকনে যান তিনি।
[ আরও পড়ুন: ভাটপাড়ার বিজেপি প্রার্থী অর্জুনপুত্র পবনের গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.