শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: নিখোঁজ শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়িতে। শনিবার রাতে ইন্দিরা কলোনির এই ঘটনায় অভিযুক্ত এক মহিলার বাড়ি ঘিরে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে রাতেই বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে সেখানে পৌঁছয়। শিশুটিকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগে ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে ঝাড়ফুঁক, তুকতাকের যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। শুরু হয়েছে বিস্তারিত তদন্ত।
শনিবার সকালে খেলতে খেলতে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন ইন্দিরা কলোনির আড়াই বছর বয়সের এক শিশু। রাতে করলা নদীর পাড় থেকে উদ্ধার হয় তার দেহ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মৃত শিশুর শরীরে ফুল-মালা ছিল। কীভাবে এসব তার শরীরে এল, সেই সন্ধান করতে গিয়ে সন্দেহের তির যায় হাফিজা খাতুন নামে এক মহিলার দিকে। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, ওই মহিলা ঝাড়ফুঁক, তুকতাক করতেন। সেই উদ্দেশেই এই শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে সন্দেহ তাঁদের। তারপরই শিশুকে খুন করে ফেলা হয়।
এই অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেশীরা রাতেই হাফিজা খাতুনের বাড়িতে চড়া হন। বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ভাঙচুরও করা হয়। ঘটনাস্থলে যায় জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। অনেক রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। জনরোষ থামিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় ওই মহিলাকে। আজ তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নেওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শিশু খুনের নেপথ্যে তার কী ভূমিকা, এমন কাজের পিছনে আরও কাদের হাত আছে, সেসব বিস্তারিত খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.