ধীমান রায়, কাটোয়া: মঙ্গলকোটের সারঙ্গপুর গ্রামের চারবছরের শিশু খেলার সময় তার হাতে কিছু কামড়ে দেয়। রক্ত ঝরছিল হাত থেকে। মা দেখার পর ভেবেছিলেন খেলতে গিয়ে কোনওভাবে ছড়ে গিয়েছে। কিছুক্ষণ পর থেকেই শিশুটি নিস্তেজ হতে থাকে। এর পর নিয়ে আসা হয় গুসকরা হাসপাতালে। কিন্তু আনার কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘিরে গুসকরা হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। পরিবার পরিজনরা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান। পরিবারের অভিযোগ, সময়মতো চিকিৎসা না হওয়ায় শিশুটি মারা গিয়েছে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। রাতে পুলিশ দেহটি নিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমানে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মৃত শিশুর নাম আংশু ব্যাপারী (৪)। জানা গিয়েছে, সারঙ্গপুর গ্রামের বাসিন্দা সুকান্ত ব্যাপারী ও বিথীকাদেবীর একমাত্র সন্তান আংশু। সুকান্তবাবু তাঁর দোকানে ছিলেন। বিথীকাদেবী বাড়িতে ছিলেন। আংশু বাড়ির পাশেই খেলছিল। ছেলেটি খেলতে খেলতে তার মাকে এসে বলে হাতে লেগেছে। আঙুলে রক্ত ঝরতে দেখে বিথীকাদেবী ভাবেন আঘাত লেগেছে। মলম লাগিয়ে দেন। এর পর খাওয়া দাওয়া সারার পর ছেলেটি অসুস্থ হতে শুরু করলে কিছুক্ষণ পর গুসকরা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
জানা গিয়েছে, এর পর ছেলেটির হাতটি দেখে চিকিৎসক এক্স রে করতে পাঠান। গুসকরায় একটি বেসরকারি সেন্টারে এক্স রে করিয়ে ফিরে আসার পরেই মৃত্যু হয় ছেলেটির। তখনই সবাই বুঝতে পারেন বিষধর সাপ কামড়ে ছিল ছেলেটিকে। এর পরেই শুরু হয় বিক্ষোভ। অভিযোগ, সাপের কামড়ের রোগীকে এক্স রে করতে পাঠিয়ে সময় নষ্ট করা হয়েছিল। চিকিৎসক ঠিকমতো শিশুটিকে পরীক্ষা না করায় শিশুটি মারা যায়। যদিও জনৈক চিকিৎসকের দাবি, শিশুর বাড়ির লোকজন প্রথমে জানিয়েছিলেন খেলতে গিয়ে আঘাত লেগেছিল, তাই এক্স রে করতে পাঠানো হয়েছিল। যদিও এনিয়ে পরিবারের লোকজন রাত পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.