পুলিশের জালে চোপড়ার মাঝিয়ালি হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক।
অর্ণব আইচ এবং শংকর কুমার রায়: ট্যাব দুর্নীতির ‘মাস্টারমাইন্ড’ গ্রেপ্তার। পুলিশের জালে চোপড়ার মাঝিয়ালি হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক। অভিযোগ, বাড়িতে ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট চালানোর নাম করে গ্রাহকদের ব্যাঙ্কিং তথ্য হাতিয়ে প্রতারণার জাল বুনেছিল সে। পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকাও হাতিয়েছিল।
ধৃতের নাম মহম্মদ মফিতজুল ইসলাম ওরফে জুয়েল। মাঝিয়ালি হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন। আদিবাড়ি চোপড়ার সীমান্তের ঘিরনিগাও এলাকায়। বর্তমানে বিয়ের পর থেকে বউকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি এলাকা চোপড়ার কাচাকালিতে বাড়ি বানিয়ে থাকতেন। জুয়েলের শ্বশুর সুলতান আহমেদ ভুলভুলি এমএসকে-র শিক্ষক। চাবাগানও রয়েছে।
২০২৪ সালের শেষের দিকে ট্যাব দুর্নীতি কাণ্ডে ধরপাকড় শুরু হয়। কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের তদন্তে উঠে আসে চোপড়ার নাম। সেখান থেকে একের পর এক শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী গ্রেপ্তার হয়। তখনই তদন্তে উঠে আসে মহম্মদ মফিতজুল ইসলাম ওরফে জুয়েলের নাম। তারপর থেকেই তার খোঁজ চলছিল। একই স্কুলের এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাকে জেরা করেও জুয়েলের নাম উঠে আসে।
এদিকে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব অন্য একজন শিক্ষক ইসমাইলকে বুঝিয়ে দিয়ে ছুটিতে চলে গিয়েছিলেন জুয়েল। জানিয়েছিলেন, তিনি অসুস্থ। দিল্লিতে চিকিৎসা করাতে যাচ্ছেন। তাকে আজ নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ প্রসঙ্গে ইসলামপুরের পুলিশ সুপার জবি থমাস বলেন, “ট্যাব দুর্নীতি কাণ্ডে এক শিক্ষককে চোপড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে তোলা হবে।”
পুলিশ সূত্রে খবর, জুয়েল নিজের বাড়িতে কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট চালাতেন। সেখানে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা জমা পড়ত। তা হাতাত সে। সূত্রের দাবি, রাজ্যজুড়ে ট্যাব দুর্নীতি কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জুয়েল। বাকিরা ছিল বোড়ে। আর তাদের নিয়োগ করেছিল জুয়েল। এবার ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে চান তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.