অর্ণব আইচ ও সঞ্জীব মণ্ডল: নাশকতা রোধে বড়সড় সাফল্য পেল সিআইডি৷ শিলিগুড়ির নকশালবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হল বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন গ্রেটার কোচবিহার লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা জিসিএলও-র চার সদস্যকে৷ ধৃতদের মধ্যে রয়েছে সংগঠনের অন্যতম নেতা নির্মল রায় ও তার সঙ্গীরা। সরকারি অফিস ও রেললাইন উড়িয়ে দেওয়ার ছক ছিল তাদের৷ এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তদন্তে৷ সিআইডি-র হাতে এসেছে একটি ভিডিও৷ যা থেকে স্পষ্ট হয়েছে বিষয়টি৷ জেরায় তাদের কাছ থেকে আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারী অফিসাররা৷
[বাপের বাড়ির অমতে বিয়ে, বাবা-দাদার হুমকিতে ঘরছাড়া হুগলির নবদম্পতি]
সূত্রের খবর, আগামী ৩১ জুলাই বনধের ডাক দিয়েছিল সংগঠনটি। প্রত্যেক বছর ২৮ অাগস্ট জিসিএলও সদস্যরা ভারতভুক্তি চুক্তি দিবস পালন করে থাকে। তার আগেই সংগঠনটি রেললাইন এবং সরকারি অফিসে নাশকতা চালানোর ছক কষেছিল বলে নিশ্চিত হয়েছে সিআইডি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ভারতভুক্তি চুক্তি মোতাবেক কোচবিহারের বাসিন্দাদের যা যা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা ছিল তার কোনওটাই দেওয়া হয়নি বা হচ্ছে না৷। ফলে দাবি ছিনিয়ে নিতেই সশস্ত্র আন্দোলনের ডাক দিয়েছে গ্রেটার কোচবিহার লিবারেশন অর্গানাইজেশন৷
[জামাইবাবুর হয়ে আদালতে প্রক্সি? বাবার নামেই ধরা পড়ল শ্যালক]
সিআইডি সূত্রে খবর, চলতি বছরের ২০ জুন জঙ্গি সংগঠন গড়ার হুমকি দিয়ে সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছিল ধৃত নির্মল রায়। তারপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন৷ তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল সিআইডি-কে৷ তারপরেই নির্মল রায়কে গ্রেপ্তারের ছক কষতে থাকেন তদন্তকারীরা৷ আর তাতেই শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে নির্মল রায়-সহ চারজন৷ এই সংগঠনে প্রায় ৮৫০ সদস্য এখনও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে বলে জেরায় জানিয়েছে ধৃতরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.