অর্ণব আইচ ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়: কখনও আইএএস অফিসার, আবার কখনও ইলেকশন কমিশনার পরিচয় দিয়ে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ। সিআইডির (CID) জালে অভিযুক্ত। ধৃতের সঙ্গে কার কার যোগ রয়েছে তা জানার চেষ্টায় তদন্তকারীরা।
অভিযুক্ত অরূপ নন্দী ওরফে শান্তা মিত্র বা রাজা নন্দী আদতে কলকাতার (Kolkata) ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা। সরকারি সুবিধা দেওয়ার নামে দীর্ঘদিন ধরেই কোটি কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণা করত বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, আদব কায়দায় অত্যন্ত স্মার্ট অরূপ ঘুরত নীল বাতি লাগানো গাড়িতে। সঙ্গে থাকত গুচ্ছের চোখ কপালে তোলার মতো সরকারি উঁচু পদের আই কার্ড। ২০১৪ সালে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হোটেলের ম্যানেজার শান্তনু পালের সঙ্গে আলাপ হয় অরূপের। তাঁকে সরকারি ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ধৃত। সেই সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরি, মদের দোকানের লাইসেন্স ও ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের ছাড়পত্র দেবে বলে আশ্বাস দেয় অরূপ। এরপরই শান্তনুর থেকে দফায় দফায় প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা নেয় প্রতারক ওই যুবক। কখনও সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আবার কখনও নগদে টাকা নেয় সে। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও প্রতিশ্রুতি মোতাবেক কিছুই না মেলায় চাপ দিতে শুরু করে শান্তনু পাল। সন্দেহ হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি নথি-সহ জানানোর হুমকি দিতেই গা ঢাকা দেয় অরূপ। সুইচড অফ হয়ে যায় তার সব মোবাইলও।
এরপরই ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অরূপ নন্দীর নামে দুর্গাপুর থানায় প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করেন শান্তনুবাবু। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে সিআইডি আধিকারিকরা ঠাকুরপুকুর থেকে গ্রেপ্তার করে অরূপ নন্দীকে। মঙ্গলবার তাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। সিআইডি আধিকারিক স্বরূপ সাহা বলেন, “শুধু দুর্গাপুরই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। এই চক্রে আরও কারা আছে তা জানার জন্যেই ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করা হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.