সম্যক খান, মেদিনীপুর: সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। কিন্তু অসহায়ের সহযোগিতায় এগিয়ে এলেন দুই সিভিক ভলান্টিয়ারই। তাঁদের সহযোগিতায় নিরাপদ আশ্রয় পেলেন পথভোলা অসহায় এক ব্যক্তি। বর্তমানে চন্দ্রকোনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। যদিও ওই ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
জানা গিয়েছে, উসকো-খুসকো চুল, পরনে ময়লা গামছা, এমন এক ব্যক্তিকে কয়েকদিন ধরেই চন্দ্রকোনা রোড চত্বরে ঘুরতে দেখেন অনেকেই। নজরে পড়লেও গত কয়েকদিন তাঁকে নিয়ে আগ্রহ দেখাননি কেউ। কিন্তু সোমবার সকালে দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের নজরে পড়েন তিনি। তাঁর হাবভাব ও পরনের গামছা দেখে সন্দেহ হয় ওই দুজনের। ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে যান ওই দুই সিভিক ভলান্টিয়ার। সেই সময় তাঁদের নজরে পড়ে ওই ব্যক্তির পায়ে বাঁধা লোহার শিকল। এরপর ওই ব্যক্তির কাছ থেকে তাঁর পরিচয় জানতে চান ওই দুই সিভিক ভলান্টিয়ার। কিন্তু নিজের নাম, পরিচয় কোনও কিছুই স্পষ্টভাবে বলতে পারেননি তিনি। ঠিকানা একবার বলছিলেন ঝাড়খণ্ড তো পরক্ষণেরই অন্য কিছু। উপায় না পেয়ে ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে সোজা চন্দ্রকোনার দাড়গেরিয়া হাসপাতালে হাজির হন ওই দুই ভলান্টিয়ার।
হাসপাতালে প্রথমে ওই ব্যক্তির পায়ের শিকল কেটে দেওয়া হয়। এরপর হাসপাতালের তরফেই তাঁকে পোশাক দেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা শুরু হয়েছে ওই ব্যক্তির। কিন্তু আদতে কোথায় বাস ওই ব্যক্তির? কীভাবে চন্দ্রকোনায় পৌঁছালেন তিনি? কেনই বা তাঁর পায়ে শিকল? এসব প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁর পায়ের শিকল থেকেই স্পষ্ট যে তাঁকে বেঁধে রাখা হত। অনুমান, কোনও ক্রমে পালিয়ে ওই এলাকায় হাজির হয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.