ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: আশ্রমে ঢোকা ও ছবি তুলতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড শান্তিনিকেতনে। আশ্রমে ঢুকে বিশ্বভারতীর কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল পর্যটকদের বিরুদ্ধে। শান্তিনিকেতনের পাঠভবন আশ্রমের নিয়মবিধি অগ্রাহ্য করে ছবি তুলছিলেন পর্যটকরা। অভিযোগ, কর্তব্য নিরাপত্তা কর্মীদের নিষেধের তোয়াক্কা না করেই চলছিল ছবি তোলা। বারণ করা সত্ত্বেও নিয়ম না মানায় নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিতে এলেই ঘটে বিপত্তি। পালটা নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন পর্যটকরা। বেলা ১২.৩০ নাগাদ অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিনিকেতন বাড়ি লাগোয়া উপাসনা গৃহ চত্বরে।
এই প্রসঙ্গে নিরাপত্তা রক্ষী কার্তিক দাস জানান, পাঠভবনে উপসনাগৃহ চত্বর ও আশ্রমে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। একই সঙ্গে উপসনাগৃহের পবিত্রতার জন্য ছবি তোলাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পর্যটকদের দলটি কোনও নিষেধই মানেনি।উলটে তাঁরা নিরাপত্তা কর্মীদের উপরে চড়াও হয়। হাতাহাতির পরিস্থিতি দেখে সামাল দিতে এগিয়ে আসেন অন্য নিরাপত্তাকর্মী-সহ বিশ্বভারতীর কর্মীরা। কিন্তু পর্যটকরা বিশ্বভারতীর কর্মী অসিত গড়াইকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর এলাকায় ভিড় জমে যায় উৎসাহীদের। তবে অভিযুক্ত পর্যটকদের পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে চায়নি। গোটা ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আশ্রমিকরা।
আশ্রমের নিয়মানুসারে পাঠভবনের ক্লাস হয় আম্রকুঞ্জের গাছতলার বেদিতে। সকাল থেকে বেলা ১২.৩০ পর্যন্ত চলে পড়াশোনার পাঠ। তাই বেলা একটা পর্যন্ত আশ্রম প্রাঙ্গনে বহিরাগত ও পর্যটকদের ঢোকা নিষিদ্ধ করা আছে। কলকাতার কালীঘাট থেকে আসা পর্যটকের দলটি নিয়ম অগ্রাহ্য করেই ছবি তুলছিল। এনিয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বচসায়ও জড়ায়। সেই থেকেই হাতাহাতি। পরে দু’তরফে হাতাহাতির অভিযোগ আনলেও এনিয়ে থানায় যায়নি কোনও পক্ষই।
এহেন ঘটনায় তিতিবিরক্ত আশ্রমিকরা। তাঁদের দাবি, অনেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র শান্তিনিকেতনে আসেন। তবে কেন এসেছেন কি দেখতে এসেছেন, তানিয়ে কোনও ধারণাই তাঁদের থাকে না। নিছক কৌতূহলেই চলে আসেন। আর তা থেকেই এসব অনভিপ্রেত ঘটনাগুলি ঘটে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.