বিক্রম রায়, কোচবিহার: ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহার। শনিবার সকালে তৃণমূল নেতার বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হন বেশ কয়েকজন। পরে তুফানগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, শাসক-বিজেপি নয়, বরং স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল বিজেপিরাই।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, শনিবার সকালে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তুলে এলাকায় মিছিল করছিলেন বিজেপি কর্মীরা। সেই সময় মিছিল থেকে বেরিয়ে কয়েকজন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে চড়াও হয়। ভাঙচুর করা হয় তাঁর বাড়িতে। বাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদ করেন স্থানীয়রাই। অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীদের মারধর শুরু করেন এলাকাবাসী৷ এরপরই স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজেপি কর্মীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় তুফানগঞ্জ। আহত হন দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন। পরে তুফানগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও এখনও থমথমে এলাকা। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি বাইক উদ্ধার করে পুলিশ।
তৃণমূল বিধায়ক ফজল করিম মিঞা বলেন, “আক্রান্ত তৃণমূল নেতা এলাকার সকলের খুবই পছন্দের। ফলে তাঁর বাড়িতে হামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রাই ছুটে আসেন। অভিযুক্তদের মারধর করেন। তৃণমূলের কোনও কর্মী কাউকে আক্রমণ করেনি। সংঘর্ষ হয়েছে বিজেপির সঙ্গে সাধারণ মানুষের।” যদিও তৃণমূলের এই দাবি মানতে নারাজ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, তুফানগঞ্জের বন্যা প্রভাবিত এলাকায় ত্রাণ বিলি করতে যাচ্ছিলেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল কর্মীরা অতর্কিতে হামলা চালায় গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের উপর। এরপরই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। আহত হন বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী। পুলিশ সূত্রে খবর, আহতদের কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করা হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে ফের উত্তপ্ত না হয় সেই কারণে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.