সৈকত মাইতি, তমলুক: স্কুলে নবম শ্রেণির এক ছাত্রের রহস্যমৃত্যু। তালাবন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে। খুনের অভিযোগে স্কুলে ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ গিয়ে কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ স্কুল কর্তৃপক্ষের।
[দিঘার হোটেলে আত্মঘাতী তরুণ-তরুণী, ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ]
তমুলক শহরের নামী স্কুল শ্রীরাম হাই স্কুল। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন চলে এই স্কুলে। পড়ুয়াদের অনেকে বাড়ি থেকে যাতায়াত করে ঠিকই, তবে আবাসিক ছাত্রের সংখ্যাও কম নয়। স্কুলের নিজস্ব হস্টেলেই থাকে পড়ুয়ারা। শ্রীরামপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র সৌরভ গুড়ি। তার বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরেরই ময়নার শ্যামগঞ্জে। বাড়ি থেকে রোজ যাতায়াত করত সৌরভ। পরিবারের লোকেদের দাবি, শুক্রবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। কয়েক ঘণ্টা পর স্কুলের একটি ঘর থেকে ওই কিশোরের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। যে ঘর থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছে, সেই ঘরটি আবার বাইরে থেকে তালাবন্ধ ছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খুনের অভিযোগ তুলে শ্রীরামপুর হাই স্কুলে ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
[ইছাপুর অস্ত্র পাচার কাণ্ডে পণ্ডিতের পর জালে ‘ভগবান’]
জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে শ্রীরামপুর হাই স্কুলের হস্টেলে নবম শ্রেণির এক পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই আবাসিক ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনার সাক্ষী ছিল সৌরভ গুড়ি। তাই ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তাকে খুন করা হয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন, ঘরের দরজায় তো তালা দেওয়া হয়েছিল। তাহলে সৌরভ ওই ঘরে ঢুকল কেমন করে? সবচেয়ে বড় কথা, ঝুলন্ত দেহটি প্রথম কে দেখেছিলেন, তা নিয়ে মুখে কুলুপ স্কুল কর্তৃপক্ষের। বস্তুত, এই ঘটনা নিয়ে স্কুলের কোনও বক্তব্যই নেই।
[গণনার মাঝে হঠাৎ আবির্ভাব পবনপুত্রের, হুলস্থুল মালবাজারে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.