রাজা দাস, বালুরঘাট: মসজিদে নমাজ পড়ার সময় এক ব্যক্তিকে পিছন থেকে কোদাল দিয়ে মেরে খুনের অভিযোগ। দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারী থানার মহাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোলি পাড়ার ঘটনায় উত্তেজনা। ধৃত প্রতিবেশী যুবককে গ্রেপ্তার করে রবিবার আদালতে তুলল পুলিশ। অভিযুক্তকে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছেন বিচারক।
জানা গেছে, মৃত ব্যক্তির নাম হাবিল মোমিন (৬৫)। ধৃত অভিযুক্ত প্রতিবেশী যুবকের নাম সাত্তার রহমান (৩৭)। শনিবার রাতে স্থানীয় জামা মসজিদে একাই নমাজ পড়ছিলেন হাবিল মোমিন। অভিযোগক, সেখানে গিয়ে নমাজ পড়াকালীন হাবিলকে পিছন থেকে কোদাল দিয়ে আঘাত করে সাত্তার রহমান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হাবিল মোমিনের। চিৎকারের শব্দ পেয়ে পরিবারের লোক ও স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে হাবিলকে উদ্ধার করে বুনিয়াদপুরের রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
তবে ঘটনার পর পালিয়ে গেলেও গভীর রাতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে বংশীহারী থানার পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ধৃত সাত্তার রহমানকে বুনিয়াদপুরে অবস্থিত গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তাকে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হয়েছে। পুরানো শত্রুতা না অন্য কিছু কারণে খুন, তার তদন্তে বংশীহারী থানার পুলিশ।
মৃতের ছেলে মতিবুর রহমান বলেন, তিনিও তাঁর বাবার সঙ্গে মসজিদে নমাজ পড়তে গিয়েছিলেন। তাঁর নমাজ পড়া হয়ে গেলে তিনি চলে আসেন। কিন্তু তাঁর বাবা নমাজ পড়ার পর কোরান পাঠ করেন। সেসময় তাঁর বাবা একাই মসজিদে ছিলেন। তিনি মসজিদের অদূরে একটি বাড়িতে টিউশন পড়াচ্ছিলেন। হঠাৎ চিৎকার শুনতে পান তাঁর বাবার। মসজিদের সামনে আসতেই দেখেন, হাতে কোদাল নিয়ে মসজিদের দরজা আটকাচ্ছে সাত্তার রহমান। তিনি দরজার কাছে যেতেই পালিয়ে যায় সাত্তার। ভিতরে গিয়ে দেখেন তাঁর বাবা লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন।
সাত্তার রহমান কোদাল দিয়ে মেরে তাঁর বাবাকে খুন করেছে বলেই অভিযোগ মতিবুরের। কিন্তু অভিযুক্তর সঙ্গে তাঁর বাবার কোনও শত্রুতা ছিল না বলেই দাবি করেন মতিবুর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.