সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিংড়িঘাটায় ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। আর তা নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। “আর একটাও দুর্ঘটনা দেখতে চাই না” বলেই দাবি তাঁর।
তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর বুধবার মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। চিংড়িঘাটায় দুর্ঘটনা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “রোজ রোজ চিংড়িঘাটায় দুর্ঘটনা ঘটছে। কলকাতা পুলিশ এবং বিধাননগর কমিশনারেটের দ্বন্দ্বের জেরে দুর্ঘটনা ঘটছে। তোমরা বসে সমস্যার সমাধান করো। আর একটিও দুর্ঘটনা চাই না। একজনেরও প্রাণহানি যেন না হয়।”
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে চিংড়িঘাটায় একের পর এক দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। দুর্গাপুজোর সময় চতুর্থীর রাতে এক যুবক ও তরুণী সায়েন্স সিটির দিক থেকে বাইকে চড়ে চিংড়িঘাটার (Chingrighata) দিকে যাচ্ছিলেন। মেট্রোপলিটন লেনের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারায় বাইকটি। সজোরে ডিভাইডারে ধাক্কা মারেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে বাইক থেকে ছিটকে পড়েন ওই যুবক। তার ফলে শরীর থেকে সম্পূর্ণ মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যুবকের। ভাইফোঁটার দিনও চিংড়িঘাটা ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পরপর ছয় পথচারীকে পিষে দেয় একটি বেপরোয়া চারচাকা। তারপর গত ১৬ নভেম্বর বাইক এবং ট্রাকের ধাক্কায় চিংড়িঘাটার কাছে মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এক যুবকের মৃত্যু হয়। একের পর এক দুর্ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই পথ নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
চিংড়িঘাটা মোড় থেকে ইএম বাইপাস পর্যন্ত রাস্তাটি কলকাতা পুলিশের নিয়ন্ত্রণাধীন। এই রাস্তাটিতে একাধিক স্পিড লিমিটার রয়েছে। তাই চাইলেও ওই রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে কেউ গাড়ি কিংবা বাইক চালাতে পারেন না। তবে চিংড়িঘাটা উড়ালপুল থেকে সেক্টর ফাইভের দিকের রাস্তাটি বিধাননগর কমিশনারেটের নিয়ন্ত্রণাধীন। এই রাস্তায় নেই কোনও স্পিড লিমিটার। তাই অনেক সময়ই দেখা যায় গভীর রাতে অধিকাংশ গাড়িই গতির খেলায় মেতে ওঠে। তার ফলেই বহুক্ষেত্রে ঘটছে দুর্ঘটনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.