সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের কাজ সম্পূর্ণ। এবার থেকে সাধারণের জন্য খুলে গেল শ্রীক্ষেত্র। বুধবার দুুপুর ৩টের সামান্য পরে মন্দিরের দ্বার খুলে দেওয়ার পরই কলকাতার পথে রওনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তিনি সরাসরি যেতে পারেন বড়বাজারের মেছুয়া বাজারের ফলপট্টিতে, যেখানে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিধ্বংসী আগুনে প্রাণ গিয়েছে ১৫ জনের। এছাড়া নিকটবর্তী যে হাসপাতালগুলিতে আহতদের চিকিৎসা চলছে, সেসব হাসপাতালেও যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বড়বাজারের মেছুয়া বাজারের ফলপট্টির বহুতল হোটেলে আগুন লাগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ। হোটেলের ৪২টি ঘরের অধিকাংশতেই কোনও জানলা ছিল না। যার জেরে ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা হোটেল। দমবন্ধ হয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়, একজন আগুনের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে কার্নিশ থেকে লাফিয়ে পড়লে তাঁর মৃত্যু হয়। বুধবার দুুপুরে এনআরএস হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও একজনের। দিঘা থেকে এই ঘটনার খবর পেয়ে ফোনে খোঁজ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হতাহতদের জন্য আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন।
তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে সবটা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে চান মুখ্যমন্ত্রী নিজে। সেই কারণে এদিন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের পরই দিঘা থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। সরাসরি যেতে পারেন বড়বাজারের সেই দুর্ঘটনাস্থলে। হোটেলের আইনি কাগজপত্র ঠিকঠাক আছে কিনা, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। এই বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীও খোঁজখবর নিয়েছেন। এবার সন্ধ্যায় কলকাতা পৌঁছে তিনি বড়বাজারে গিয়ে এ বিষয় বিস্তারিত জানতে চাইতে পারেন। মঙ্গলবার রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। আর বুধবার দুপুরে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে সবটা খতিয়ে দেখে সিপিএমের এক প্রতিনিধিদল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.