সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন অংশ জলমগ্ন। কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। আর তাই দিল্লি থেকে তড়িঘড়ি রাজ্যে ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার হাওড়ার আমতা-উদয়নারায়নপুরের অবস্থা পরিদর্শনের পর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
[ সেনার জন্য ১ শতাংশ কর নিক সরকার, আরজি অক্ষয়ের ]
এদিন জলমগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, “যতদূর খবর পেয়েছি প্রায় ২ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। তার জেরেই বন্যা হচ্ছে। বছরের পর বছর এ নিয়ে আমরা সাফার করছি। কেন্দ্র যদি দয়া করে ডিভিসি-র ড্যামগুলির সংস্কার করে, পলি সরায় তাহলে আর এ পরিস্থিতি তৈরি হয় না।” বস্তুত বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এদিন কেন্দ্রকে একহাত নিলেন মমতা। জানালেন, এ সমস্যা আজকের নয়। দীর্ঘদিন এ পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে বলে এসেছেন। চিঠি দিয়েছেন। নিজে দেখা করেও দরবার করেছেন। মনমোহন সিংকেও জানিয়ে এসেছিলেন। মোদিকেও বলেছেন। কিন্তু সুরাহা হয়নি। কেন তিনি বন্যা পরিস্থিতিকে ‘ম্যান মেড’ বলেন, তারও ব্যাখ্যা দিলেন এদিন। জানান, রেলমন্ত্রী থাকার সময় ফরাক্কার কাছে একটি ট্রেন আটকে গিয়েছিল। সে সময় অফিসাররা রিপোর্ট দেওয়ার সময় বলেছিলেন ম্যান মেড। অর্থাৎ কৃত্রিমভাবে পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। উদ্ভুত বন্যাকেও তাই-ই বলে অভিহিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় না। কিন্তু বছরের পর বছর এই জল ছাড়ার বিষয় চলছে। সাধারণ মানুষের কথা না ভেবেই লক্ষ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। গবাদি পশু এমনকী মানুষেরও মৃত্যু হচ্ছে। এতটা দেখেও কেন্দ্র কী করে উদাসীন থাকতে পারে, প্রশ্ন উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রীর।
[ ‘সুন্দরী’ স্ত্রীর খাতিরে শেষে এ কী করলেন স্কুলশিক্ষক? ]
প্রশাসিনক স্তরে তাঁর যা সাহায্য করার, সে ব্যবস্থা হয়েছে বলে আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিবও। জলের তোড়ে যাতে মানুষের জীবনহানি না হয়, সে কারণে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ত্রাণের ব্যবস্থাও হয়েছে। তবে কেন্দ্র যদি ডিভিসি-র ড্যাম সংস্কারের ব্যবস্থা না করে, তবে এ পরিস্থিতি যে বন্ধ হবে না তাও জানিয়ে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.