ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: এবার সরানো হল উত্তর ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে (CMOH)। তপন সাহার জায়গায় দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হল স্বাস্থ্যভবনের এডিএইচএস (ইপিআই) ডঃ তাপসকুমার রায়কে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপন সাহাকে স্বাস্থ্য ভবনের এডিএইচএস-এর দায়িত্ব সামলাতে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকদিন ধরে মতবিরোধ চলছিল মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের। কারণ, জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের বিরুদ্ধে কাজে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তার জেরেই এই বদলি বলে ধারণা প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের। তবে এর পিছনে ক্রমশ বাড়তে থাকা সংক্রমণও দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।
গত এক সপ্তাহ যাবৎ উত্তর ২৪ পরগনায় প্রতিদিন দেড়শো থেকে দু’শো জন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ১ জুলাই জেলায় করোনা (Corona Virus) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৬০৬। ৭ জুলাই পর্যন্ত পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪১৭৭। সেদিন ১৯৯ জন একসঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৮ জুলাই সংক্রমিত হয়েথেন আড়াইশোরও বেশি। আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি বারাকপুর আর বিধাননগরে। সংক্রমণ রুখতে জেলার মোট ৯৫টি কন্টেনমেন্ট জোনে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে নতুন করে লকডাউন শুরু করেছে প্রশাসন। তবে কন্টেনমেন্ট জোনের বাইরেও সংক্রমণ ছড়ানোর প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। বারাসত জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “মাস্ক ছাড়া চায়ের দোকান বা খাবারের স্টলে বসে আড্ডা চলছে। সে কারণেই এই দোকানগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনও জটলা বা জমায়েত করতে দেওয়া হবে না।”
কন্টেনমেন্ট জোনে পূর্ণ লকডাউন তো থাকছেই। তার সঙ্গে কন্টেনমেন্ট জোনের বাইরেও কড়াকড়ি করছে পুলিশ। বারাকপুর ও টিটাগড় পুর এলাকায় বাজার বন্ধ করে দিতে হবে সকাল দশটায়। বরানগরে বঙ্গলক্ষ্মী, আলমবাজার, মল্লিক কলোনি, অশোক কর বাজার কন্টেনমেন্ট জোনের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় বন্ধ রাখা হচ্ছে। এর বাইরে নেতাজি কলোনি বাজার খোলা থাকবে সকাল দশটা পর্যন্ত। পাড়ার ছোট বাজারগুলিও সবসময় খোলা রাখা যাবে না। বারাসাতেও বাজারে বিধিনিষেধ আরোপিত হচ্ছে। আজ শুক্রবার এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.