বাবুল হক, মালদহ: ছাত্রীদের ইভিটিজিং-সহ যাবতীয় উপদ্রব ঠেকাতে অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক সপ্তাহে তিনদিন ছাত্রীদের আর বাকি তিনদিন ছাত্রদের পঠনপাঠন শুরুও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শিক্ষাবিদ-অভিভাবকদের চাপে শেষপর্যন্ত সিদ্ধান্ত বদল করতে হল মালদহের হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডী গিরিজাসুন্দরী বিদ্যাপীঠ কর্তৃপক্ষকে। বৃহস্পতিবার থেকে ফের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে একসঙ্গে ক্লাস করা শুরু করল ছাত্র-ছাত্রীরা। এদিকে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করছে, এমন সাতজন ছাত্রী ও সাতজন ছাত্রীকেও কর্তৃপক্ষ চিহ্নিত করেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রধান শিক্ষক জগদীশচন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, ওই ১৪ জন পড়ুয়াকে ক্লাস করতে না দেওয়ার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে পরিচালন সমিতি। বিষয়টি তাদের অভিভাবকদেরও জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে ফর্ম ফিলাপ ও পরীক্ষায় বসতে পারবে অভিযুক্ত পড়ুয়ারা।
জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই পরপর বেশ কয়েকটি আপত্তিকর ঘটনা ঘটেছে মালদহের হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডী গিরিজাসুন্দরী বিদ্যাপীঠে। স্কুল চত্বরে, এমনকী ক্লাসরুমেও নজরে পড়েছে বহিরাগত ছাত্রের আনাগোনা। অভিযোগ, স্কুলের ছাত্রীদের উত্যক্ত করছে বহিরাগতরা। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, বহুবার বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও স্কুলে বহিরাগত ছাত্রদের আনাগোনা ঠেকানো যায়নি। শেষপর্যন্ত নোটিস জারি করে বুলবুলচণ্ডী গিরিজাসুন্দরী বিদ্যাপীঠের তরফে জানানো হয়, এবার থেকে সপ্তাহে তিনদিন ক্লাস করবে ছাত্রীরা। বাকি তিনদিন তাদের ছুটি থাকবে। তখন ক্লাস হবে ছাত্রদের। নয়া নিয়মে পঠনপাঠন শুরুও হয়ে গিয়েছিল। এদিকে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। খোদ মালদহ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক তাপস কুমার বিশ্বাস জানিয়ে দিয়েছিলেন, ছাত্ররা তিনদিন ক্লাস করবে, আর তিনদিন ছুটি কাটাবে। এমন সিদ্ধান্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ নিতে পারে না। যদি এমনটা হয়ে থাকে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডী গিরিজাসুন্দরী বিদ্যাপীঠে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে শুধু ছাত্ররা। কিন্তু একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ভরতি হতে পারে ছাত্রীরাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.