Advertisement
Advertisement
Supreme court

‘সুপ্রিম’ রায়ে চাকরিহারা দৃষ্টিহীন শিক্ষক, সোমার মতো তাঁরও চাকরি থাক, চাইছেন সহ-শিক্ষকরা

স্বভাবতই ভেঙে পড়েছেন তিনি।

Colleagues of blind teacher wants Supreme court to retain his job
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:April 3, 2025 7:56 pm
  • Updated:April 3, 2025 9:52 pm  

সুবীর দাস, কল্যাণী: প্রায় দৃষ্টিশক্তি নেই। প্রথম চাকরিস্থল ছিল বাড়ি থেকে অনেক দূরে। বাড়িতে অসুস্থ মা’র সঙ্গে থাকার জন্য ২০১৬ সালে এসএলএসটির পরীক্ষা দিয়ে ফের চাকরি পান। কিছুদিন দূরে চাকরির পর, ২০২১ সালে বাড়ির কাছে শিমুরালি উপেন্দ্র বিদ্যাভবন হাইস্কুলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন মৃণালকান্তি সাহা। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চের ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায়ের পর চাকরিহারা তিনিও। তবে, ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাসের চাকরি থেকে যাওয়া পর মৃণালবাবুর চাকরি বাতিলের বিষয়টি বিবেচনা করা হোক। চাইছেন তাঁর স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষকরা।

মৃণালকান্তিবাবুর দু’টি চোখের দৃষ্টিশক্তি একেবারেই নেই বললেই চলে। স্বভাবতই ভেঙে পড়েছেন তিনি। সহকর্মীর জীবনে এই বির্পযয়ের পর মন খারাপ প্রধান শিক্ষক সন্দীপ ঘোষ ও সহ-শিক্ষকদের। প্রধান শিক্ষক বলেন, “খুব খারাপ খবর। মৃণালবাবু দৃষ্টিহীন। তিনি খুব ভালো শিক্ষক। ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাসের চাকরি আছে। সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ ভাবে তাঁর ব্যাপারটা দেখেছে। মৃণালবাবুর ক্ষেত্রেও যদি বিশেষ নজর দেওয়া হয় তাহলে ভালো হবে। আমি জানি না, এই বিষয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টে দৃষ্টি আর্কষণ করেছিলেন কি না, তবে তাঁর চাকরি এই স্কুলেই থেকে গেলে খুব খুশি হব।” এই স্কুলে ২০১৬ সালে এসএলএসটিতে নিয়োগ পাওয়া মোট ৩ শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। রায় ঘোষণার পর মৃণালবাবু জানাচ্ছেন, “আমরা প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। এই রায়ের পুরো অংশ আমার জানা নেই। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি বলতে পারব। এই স্কুলে আসার আগে ২০০৭ সালে উত্তর ২৪ পরগনার চকপাটুলী হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেছি। বাড়ি থেকে দূরে হওয়ায় ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পাই। পরে এখানে ট্রান্সফার হয়ে আসি।”

Advertisement

এদিকে বছরের মাঝে স্কুলের তিন শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়ায় স্কুলের কাজকর্মে সমস্যা হবে বলে মেনে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক সন্দীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, “বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠনের ক্যালেন্ডার তৈরি হয়ে গিয়েছে। আগামীকাল থেকে ইউনিট টেস্ট শুরু হচ্ছে। এই সময় বিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষককে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। তাঁরা অনুপস্থিত হয়ে পড়লে এই সময় বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠনের অনেক বড় ক্ষতি হবে।” তবে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানার সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, স্কুল শিক্ষাদপ্তরের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement