নিজস্ব সংবাদদাতা, তেহট্ট: বিরল ঘটনার সাক্ষী রইল কৃষ্ণনগর জেলা দায়রা আদালত। যৌন হেনস্তার ঘটনায় মিথ্যে সাক্ষী দেওয়ার অভিযোগে কাঠগড়ায় নিগৃহীত শিশুর বাবা। তাঁকে ২ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অনাদায়ে দু’মাসের জেল হেফাজতের নির্দেশ। আইনজীবী সূত্রের খবর, কৃষ্ণনগর আদালতে এই ঘটনা প্রথম। হতবাক খোদ আইনজীবীরাও।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৭ সালের জুলাই মাসে। সূত্রের খবর, সেই সময় এলাকারই একটি বাগান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রকে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ার তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তিরত করা হয়েছিল। পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানো হয়, প্রথম শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে যৌন নির্যাতন করেছে এলাকারই এক যুবক। অভিযুক্তের নাম নিউটন শেখ। অভিযোগ ওঠে, নিউটন এলাকার একটি বাগানে নিয়ে গিয়ে ছাত্রের উপর যৌন নির্যাতন চালায়। গোটা ঘটনাটি জানিয়ে ওই ছাত্রের বাবা সাবিরুদ্দিন শেখ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানার দ্বারস্থ হন। এরপর অভিযুক্ত নিউটনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলাটি আদালতে উঠলে অভিযুক্তকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। সরকারি আইনজীবী অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায় জানান, অভিযুক্ত চোদ্দ মাস জেল খাটার পর হঠাৎই নিজের বয়ান বদল করেন ওই ছাত্রের বাবা সাবিরুদ্দিন। ফলে সেই সময় বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয় অভিযুক্ত নিউটনকে।
গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে নির্যাতিত ছাত্রের বাবা সাবিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে পালটা মামলা করেন বিচারক মানস বসু। শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি। এদিন কৃষ্ণনগর অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতে( দ্বিতীয়ত) যান সাবিরুদ্দিন। বয়ান বদলের কারণ জানতে তাকে একাধিক প্রশ্ন করেন বিচারকরা। বক্তব্য সন্তুষ্ট না হওয়ায় অভিযুক্তের ২ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক। অনাদায়ে ২ মাস জেলের নির্দেশ। তবে আদতে কী কারণে মিথ্যা সাক্ষী দিয়েছিলেন সাবিরুদ্দিন সেবিষয়ে কোনও স্পষ্ট কারণ মেলেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.