সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: রাম মন্দিরের (Ram Temple) ভূমিপুজোর দিন মন্দিরে গিয়ে রামচন্দ্রের পুজো করে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল নেতা। পুরুলিয়ার আদ্রা শহর তৃণমূলের সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবে বুধবার রেল শহর আদ্রার নর্থ এলাকার রাম মন্দিরে গিয়ে পুজোপাঠ করেন। সঙ্গে ছিলেন অনুগামীরাও। নিমেষের মধ্যে সেই পুজোর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার জেরে বিতর্ক দানা বাঁধে তৃণমূলের অন্দরে। তবে ধনঞ্জয়বাবুর সাফ কথা, “রামচন্দ্র আমাদের দেবতা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপিই শুধু রামের আরাধনা করবে, তা তো হতে পারে না। আমি এখানে একজন হিন্দু হিসাবে রামচন্দ্রের পুজো করলাম।”
আসলে রেল শহর আদ্রায় বিজেপিকে কোনওভাবেই জমি ছাড়তে রাজি নয় তৃণমূল। তার পদক্ষেপ হিসেবেই আদ্রা শহর তৃণমূল সভাপতির এ এক রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ব্যাখ্যা করছে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল। বিষয়টি নিয়ে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। দলের জেলা সভাপতি গুরুপদ টুডু বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে বলতে পারব।” তবে তৃণমূল নেতার এই পুজোকে ইতিবাচক বলে ধরে নিয়েছে পুরুলিয়া জেলা বিজেপি। জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর কথায়, “ওই নেতা বিজেপিতে আসতে চান, তাই আজকের দিনে রামের পুজো করলেন।”
এদিকে, এদিনই খনি অঞ্চল নিতুড়িয়ায় শশীভূষণ প্রসাদ যাদব ওয়েলফেয়ার সোসাইটির তরফে নিতুড়িয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা নিতুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শান্তিভূষণ প্রসাদ যাদব এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে নিজের বাড়িতে বৃক্ষরোপণ করে রাম বন্দনা করেন। তাঁরও স্পষ্ট ব্যাখ্যা, “আমি একজন হিন্দু। আর রামচন্দ্র আদর্শ পুরুষ। তাই এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই লকডাউন মেনে নিজের বাড়িতেই গাছ লাগিয়ে সবুজায়নের বার্তা দিলাম। ভজনের মাধ্যমে একতার বার্তা দিয়ে বলতে চাই, হিন্দু-মুসলিম আমরা সবাই ভাই-ভাই। আমার ভারত মহান। মহান আমার হিন্দুস্তান।”
ছবি: সুনীতা সিং।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.