দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: এবার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) নিশানায় শুভেন্দু অধিকারী। হুগলির ব্যান্ডেলের সাহেববাগানের সভা থেকে নাম না করে মন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ। বললেন, “ইয়া তৃণমূলমে রহো, নেহি তো বিজেপিকে সাথ চলা যাও, দোনো কে সাথ প্রেম মাত কিজিয়ে ভাইয়া!” লাগাতার শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের আক্রমণই ক্রমশ স্পষ্ট করছে যে দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
হুগলির ব্যান্ডেল রেলষ্টেশন সংলগ্ন সাহেববাগান, ক্যান্টিনবাজার, পীরতলা-সহ বিভিন্ন এলাকায় স্বাধীনতার পর থেকে বহু মানুষের বাস। সম্প্রতি ওই এলাকার বাসিন্দাদের ঘর ছাড়ার জন্য নোটিস দেয় রেল। এই উচ্ছেদ নোটিসের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সাহেববাগানে একটি সভার আয়োজন করে তৃণমূল। সেখান থেকেই নাম না করে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) আক্রমণ করেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও শুভেন্দু’র জনসভাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তিনি। এদিনের সভা থেকে সাংসদ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিনই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া সিপিএমকে হটানোর হিম্মত কারও ছিল না। সিঙ্গুরের কৃষি জমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ২৬ দিন অনশন করছিলেন তিনি। যা পশ্চিম বাংলায় কেউ কোনওদিন করেনি।”
এরপরই নন্দীগ্রাম আন্দোলনের পুরো কৃতিত্ব মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে কল্যাণবাবু বলেন, “সিঙ্গুর আন্দোলন যেরকম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য হয়েছিল একইভাবে নন্দীগ্রামের আন্দোলনও উনি ছিলেন বলেই হয়েছিল।” ফের নাম করে শুভেন্দু অধিকারীকে ইঙ্গিত করে সাংসদ বলেন, কোনও কোনও জায়গায় স্থানীয় নেতার উপর দায়িত্ব দেওয়া থাকে। কিন্তু মাথার উপর ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ডাকেই মানুষ ছুটে আসে। অনেকে আজ বড় হতে পারে, কিন্তু সে কার ছায়ায় বড় সেটাই হল বড় ব্যাপার। এদিন প্রধানমন্ত্রীকেও কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ। বলেছেন, “নরেন্দ্র মোদি যাকে জড়িয়ে ধরেন তিনিই পদ থেকে সরে যান। উনি আমেরিকার প্রেসিডেন্টের গলা জড়িয়ে ধরেছিলেন উনিও সরে গেলেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.