শান্তুনু কর, জলপাইগুড়ি: পুলিশকর্মী পরিচয় দিয়েও রেহাই মেলেনি। আরপিএফ কর্মীদের এগিয়ে আসতে দেখে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। শেষপর্যন্ত, হৃদরোগের আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবল। শনিবার সকালে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি স্টেশনে। ওই কনস্টেবলের কাছে টিকিট ছিল না বলে অভিযোগ। এদিকে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছেন মৃতের পরিবার।
[বাড়ির সামনে মদের আসরের প্রতিবাদ, বধূকে পিটিয়ে মারল দুষ্কৃতীরা]
মৃত পুলিশকর্মীর নাম দিলীপ কুমার রায়। ধূপগুড়ির গাদং ১ নম্বর পঞ্চায়েত কথাপা়ড়া এলাকায় থাকেন তিনি। কলকাতা পুলিশে কনস্টেবল পদে চাকরি করেন দিলীপবাবু। চাকরির জন্য থাকতে হয় কলকাতায়। সপ্তাহান্তে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। শনিবার যখন উত্তরবঙ্গ এক্সেপ্রেসে যখন ধূপগুড়ি স্টেশনে পৌঁছন দিলীপ কুমার রায়, তখন স্টেশনে বিনা টিকিটের যাত্রীরা ধরপাকড় করা হচ্ছিল। জানা গিয়েছে, টিকিট দেখতে চাইলে, নিজেকে পুলিশকর্মী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন দিলীপবাবু। কিন্তু তাতেও ছাড়া পাননি। উলটে স্টেশন আরপিএফ কর্মীরা তাঁর দিকে এগিয়ে আসেন। তখন ব্যাগপত্তর ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন দিলীপবাবু। পালানোর সময়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল দিলীপ কুমার রায়ের টিকিট ছিল না বলে অভিযোগ। এদিকে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছেন মৃতের বাড়ির লোকেরা। তাঁদের প্রশ্ন, দিলীপবাবুর কাছে যদি টিকিটই নাই থাকত, তাহলে তাঁকে আটকে রেখে জরিমানা করা উচিত ছিল। আরপিএফ কর্মীরা কেন ধাওয়া করতে গেলেন? ওই পুলিশকর্মীর বাড়ির লোকের অভিযোগ, তাঁকে মারধর করে ধূপগুড়ি স্টেশন লাগোয়া ধানখেতে ফেলে রাখা হয়েছিল। সেখানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
[সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী জওয়ান, তদন্তে পুলিশ ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.