অরিজিৎ সাহা: চতুর্দিকে রঙিন প্যান্ডেল। হরেক রকম আলোর রোশনাই। ধূপ, ধুনোর গন্ধ। বাজছে কাঁসর। এভাবেই বাসন্তী পুজো কাটে মহেশতলার গোপালপুরের বাসিন্দাদের। কিন্তু করোনার কোপে এবার সেই নিয়মেই এল বদল। ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় বাসন্তী পুজোর রোশনাই পরিণত হয়েছে অন্ধকারে।
মহেশতলার গোপালপুর অগ্রগামী সংঘ প্রতি বছরই ধুমধাম করে বাসন্তী পুজোর আয়োজন করে। চলতি বছরের প্রস্তুতিও ছিল সেরকমই। বাঁশের প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল সেই কবে। তার উপর লাগানোর কথা ছিল হরেক রঙের কাপড়। কথা ছিল চতুর্দিক সেজে উঠবে আলোর রোশনাইতে। সকলের আশা ছিল বাজবে ঘণ্টা, কাঁসর। ঝলমল করবে পুজোর ক’দিন। ২৫ তম বর্ষ বলে কথা। তাই আয়োজন ছিল যেন কিছুটা বেশিই। চন্দননগর থেকে আলো, মেদিনীপুর থেকে পুজোর প্যান্ডেল আসার কথা ছিল। জমজমাট উদ্বোধনের মাধ্যমে পুজোর সূচনা করবেন বলেই পরিকল্পনা ছিল উদ্যোক্তাদের। অন্যান্য বছরের মতো হিন্দু, মুসলমান সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মেতে উঠবেন পুজোয়।
কিন্তু আচমকাই বদলে গেল ছবিটা। নেপথ্যে মারণ করোনা ভাইরাস। সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে জারি রয়েছে লকডাউন। তাই তার মাঝে আর বড় করে মহেশতলার গোপালপুর অগ্রগামী সংঘর উদ্যোক্তাদের পক্ষে জাঁকজমক করে বাসন্তী পুজো করা সম্ভব নয়। তাই বদলে গিয়েছে পরিকল্পনা। এখনও পর্যন্ত শেষ হয়নি প্যান্ডেল। প্রতিমার গায়েও লাগেনি রঙের ছোঁয়া। ওইভাবেই চলতি বছর বাসন্তী পুজো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। তাতে সায় দিয়েছেন পুজোর পুরোহিতও। তাঁর কথা মতোই চলতি বছর হবে শুধুই ঘট পুুজো। এলাকাবাসীর কাছ থেকে নেওয়া চাঁদা দিয়ে হবে দুস্থ মানুষদের সেবা করা হবে। ক্লাব সদস্যরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই চাঁদার টাকা দিয়েই তাঁদের দেওয়া হবে চাল, ডাল, নুন, তেলের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্যসামগ্রী। তাই বাসন্তী পুজোর আনন্দ করতে পারছেন না সেই আফশোস ভুলে করোনা যুদ্ধে শামিল ক্লাব সদস্যরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.