ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: করোনার থাবা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীতে (Vishvabharati)। উপাচার্য (Vice Chancellor) বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজে করোনা আক্রান্ত। তাঁর স্ত্রীর রিপোর্টও পজিটিভ। এছাড়া এখানকার দুই ডাক্তার-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৬ জনের শরীরে মিলেছে করোনার (Coronavirus) জীবাণু। সংক্রমণ রুখতে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টাকালের জন্য বিশ্বভারতীর উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রার অফিস বন্ধ করা হল। আতঙ্কিত পড়ুয়ারা। স্যানিটাইজ করা হবে গোটা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর গাড়ি চালক করোনা আক্রান্ত হন। এই খবর পেয়েই উপাচার্য ও কর্মসচিবের অফিস সিল করে দেওয়া হয়। স্যানিটাইজেশনের (Sanitization) ব্যবস্থা করা হয়। এর মধ্যে উপাচার্য অফিসের কয়েকজন কর্মীর মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। তারপরই আর ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। সোমবার উপাচার্য, ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব-সহ বিশ্বভারতী বিভিন্ন দপ্তরের প্রায় ১৫০ কর্মীর করোনা পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিয়ারসন হাসপাতালে ১১০ জন কর্মীর করোনা টেস্ট করানো হয়। দুপুর পর্যন্ত পিয়ারসন হাসপাতাল সূত্রে খবর, উপাচার্য এবং তাঁর স্ত্রীর পরীক্ষার রিপোর্ট করোনা পজিটিভ (COVID Positive)। এছাড়া পিয়ারসন হাসপাতালের দুই ডাক্তার-সহ ষোল জন বিশ্বভারতীর কর্মী করোনা আক্রান্ত। বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, সোমবার বিকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও পরে তা বদল করা হয়েছে।
পরে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক করে বিশ্বভারতীর উপাচার্য জানিয়েছেন, সামনে পুজো, স্নাতকস্তরে ছাত্র ভরতি চলছে এবং কর্মীদের বেতনের বিষয়টি মাথায় রেখে বিশ্বভারতী বন্ধ রাখা হচ্ছে না। শুধুমাত্র উপাচার্য এবং রেজিস্টার অফিস বন্ধ থাকছে। স্যানিটেশন চলবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।একইভাবে পিয়ারসন হাসপাতালে নতুন করে কোনও রোগী ভরতি নেওয়া হবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.