গৌতম ব্রহ্ম: শুধু এলাকাবাসীর সঙ্গে অবাধ মেলামেশাই নয়, রাজধানী এক্সপ্রেস ও লালগোলা প্যাসেঞ্জারে তেহট্টে পৌঁছে ছিলেন আক্রান্ত ৫ জন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্ক কয়েকগুণ বেড়েছে। ব্যাপকহারে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গতকালই তেহট্টের পাঁচ জনের শরীরে মিলেছে করোনার জীবাণু। এরপরই শেষ কয়েকদিনে তাঁদের গতিবিধি প্রকাশ্যে আসতেই চোখ কপালে উঠেছে চিকিৎসকদের। শুধু তেহট্টের প্রতিবেশীরাই নন, আরও বহু মানুষ সংক্রমিত হতে পারেন এই পাঁচ জনের দ্বারা এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, ৩ খুদেকে নিয়ে নিউ দিল্লির হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন ওই দুই মহিলা। এরপর ১৯ মার্চ সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে নিউ দিল্লি-শিয়ালদহ রাজধানী এক্সপ্রেসে ওঠেন তাঁরা। ২০ মার্চ সাড়ে দশটা নাগাদ শিয়ালদহ পৌঁছন। সেখান থেকে লালগোলা প্যাসেঞ্জারে যান তেহট্টে। সেখান থেকে অটোয় বাড়ি।
অর্থাৎ সংক্রমিত ব্যাক্তির সংস্পর্শে আসার পর রাজধানী, লালগোলা এমনকী অটোতেও ওঠেন তাঁরা। আর এতেই প্রচুর মানুষের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। ইতিমধ্যেই তেহট্টের কুড়ি জনকে পর্যবেক্ষণে রাখলেও রাজধানী এক্সপ্রেস ও লালগোলার বহু যাত্রী সংক্রমিত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। নিজেদের অজান্তেই তাঁদের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারেন অন্যরাও। কিন্তু করোনা আক্রান্তের সঙ্গে সাক্ষাতের পর পরিস্থিতি জেনেও কেন গণপরিবহণ ব্যবহার করলেন তাঁরা এই প্রশ্নই তুলছেন অনেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.