ছবি: প্রতীকী।
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: প্রেম পরিণতি পাবে না জেনেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিল যুগল৷ ফাঁকা বাড়ির দরজা ভেঙে কিশোর-কিশোরীকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়রা৷ পরে, গভীর রাতে হাসপাতালে দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
বারাসত পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে শেঠপাড়ার বাসিন্দা অরিজিৎ ঘোষের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নাফিসা সিরিনের। বেশ কয়েক বছর আগে অরিজিতের বাবা-মার বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়৷ এরপর থেকেই সে মায়ের মামা-মামির কাছে বেলঘরিয়াতে থাকতেন। টিউশন এলে মাঝে মধ্যে বারাসতে পুরানো বাড়িতেও থাকত৷ একাদশ শ্রেণির অরিজিতের সঙ্গে সম্পর্ক মানতে চাননি নাফিসার বাবা-মা৷
[সাসপেন্ড দাড়িভিট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক, পঠনপাঠন চালুর নির্দেশ]
ইংরেজি মাধ্যমের পড়ুয়া নাফিসা প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে রাজি না হওয়ায় অশান্তি চলছিল। এক সময় তা অসহনীয় হয়ে ওঠে। এর পর দু’জনে ইহলোক ছাড়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। অরিজিৎ প্রেমিকাকে বলেছিল, এখানে বাধা পেলেও পারে কোনও সমস্যা থাকবে না। সেখানেই থাকব দু’জনে। সম্পর্ক ছাড়বে না নাফিসাও, ফলে সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় সেও৷
[বেঁকে বসেছেন মিল মালিকরা, সহায়ক মূল্যে ধান কিনছে রাজ্য]
পরিকল্পনা মতো সবার অলক্ষ্যে দু’জনে এক সময় অরিজিতদের পুরানো বাড়িতে হাজির হয়। তারপর একসঙ্গে হাত ধরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ে দু’জনে। এদিকে রাত হয়ে যাওয়ায় খোঁজখবর শুরু করে নাফিসার পরিবার। অরিজিতদের বাড়িতে এসে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ দেখে, তার দাদু ও দিদিমাকে ফোনে জানায়। তাঁরাও সেখানে আসেন। এর পর দরজা ভেঙে দু’জনকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখেন পরিবারের লোকজন।
[পনেরো বছর পর ধর্ষণের কলঙ্ক থেকে মুক্ত যুবক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.