আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: আগরপাড়ায় দম্পতির রহস্যমৃত্যু। ঘরের দরজা ভেঙে স্বামী ও স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যা করেছেন ওই ব্যক্তি। ঘটনাস্থলে সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার নেপথ্যে কি পরকীয়া? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মাস ছয়েক আগে আগরপাড়ায় ভাড়া এসেছিলেন অমর মণ্ডল। পীরতলায় একটি বাড়িতে স্ত্রী বৃন্দা ও সাড়ে তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি। বাড়ির মালিক জানিয়েছেন, মেয়েকে খাওয়ানো নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি হত। বেশ কয়েকবার তিনি ও তাঁর স্ত্রী গিয়ে ঝামেলা মিটিয়েছেন। রোজকার মতোই শুক্রবার সকালেও ওই দম্পতির সাড়ে তিন বছরের মেয়েকে পড়াতে আসেন এক গৃহশিক্ষিকা। কিন্তু বাইরে থেকে বিস্তর ডাকাডাকি করেও কারও সাড়া পাননি তিনি। ওই গৃহশিক্ষিকার দাবি, বন্ধ দরজার বাইরে ভাঙা শাঁখা-পলা পড়ে ছিল। ঘরের ভিতরে ওই দম্পতির শিশুকন্যার আওয়াজও শুনতে পান তিনি। এরপরই বাড়িওয়ালা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের খবর দেন ওই গৃহশিক্ষিকা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে স্থানীয় বাসিন্দা দেখেন, মেঝেতে মৃত অবস্থা পড়ে রয়েছে বৃন্দা মণ্ডল। আর ফ্যান থেকে ঝুলছে অমর মণ্ডলের দেহ। ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে খড়দহ থানার পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, সম্ভবত স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে আত্মহত্যা করেছেন অমর। এদিকে আবার ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে অমর মণ্ডল লিখেছেন, ‘বৃন্দাকে নিয়ে সুখের সন্ধানে চললাম। মেয়েকে রেখে গেলাম।’
কিন্তু, এমন ঘটনা কেন ঘটল? স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, আগরপাড়ায় আসার পর বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বৃন্দা মণ্ডল। অন্য সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যা করেছেন অমর মণ্ডল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.