সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেওড়াফুলির করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়ের চিকিৎসা হয়েছিল এই নার্সিংহোমে। কোনওরকম আইসোলেশন ছাড়াই ভরতি ছিলেন আক্রান্ত। যার জেরে গোটা নার্সিংহোমকেই কোয়ারেন্টাইনে পাঠাল রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর। আগামী ১৪ দিন হুগলির চন্দননগরের ওই নার্সিংহোমের সমস্ত চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই কদিন তাঁরা বাড়ির বাইরে বেরতে পারবেন না।
সূত্রের খবর, চন্দননগরের ওই নার্সিংহোমে গত ২৫ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ ওই প্রৌঢ় জ্বর, সর্দি-কাশি এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ নিয়ে ভরতি ছিলেন। তাঁর কোনও COVID-19 টেস্ট হয়নি। নার্সিংহোমের চিকিৎসায় তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তারপর তিনি সল্টলেকের একটি হাসপাতালে ভরতি হন। সেখানেই তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেই টেস্ট পজিটিভ হয়। এরপর বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যদপ্তরকে জানায়। তখন জেলা স্বাস্থ্যবিভাগের তরফে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন তার একটা তালিকা তৈরি করা হয়।
তখনই জানা যায় এই নার্সিংহোমের কথা। যে চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসা করেছিলেন তাঁকে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। গোটা নার্সিংহোমকেই আইসোলেট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ১৪ দিন কোনও নতুন রোগী ভর্তি করা যাবে না। নার্সিংহোমে থাকা বাকি রোগীরাও ছুটি পাবেন না। চিকিৎসক, নার্স এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরাও নার্সিংহোমের বাইরে যেতে পারবেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.