ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: অবিলম্বে সব স্কুল খুলে দেওয়া দরকার। ছোট ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের স্বার্থেই এই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বৃহস্পতিবার কোভিড গ্লোবাল অ্যাডভাইসরি কমিটির ভার্চুয়াল মিটিংয়ে উঠে এল এমনই সিদ্ধান্ত। চলতি সপ্তাহেই সরকারের কাছে প্রস্তাব পেশ করবে কমিটি।
রাজ্যে সংক্রমণ বাড়লেও স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে সংক্রমণ অত্যন্ত কম। যা কিছু সংক্রমণ বেশিরভাগ বয়স্ক ও কো মর্বিডিটিদের মধ্যে। এমনকী, যাঁরা দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের উপসর্গ কম। অনেকেই এক সপ্তাহের কম সময়ে সুস্থ হয়েছেন। এদিন রাজ্যের কোভিড (COVID) হাসপাতাল ও রোগীদের শারীরিক অবস্থা তথ্য দিয়ে পর্যালোচনা হয়। ভার্চুয়াল মিটিংয়ে ইয়রোপ বিশেষ করে ইংল্যান্ডের অবস্থা পর্যালোচনা হয়। সেখানেই বিশেষজ্ঞরা বলেন, ইংল্যান্ডে স্কুল খুলেছে। স্কুল-কলেজ খুলেছে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে। তাই ভবিষ্যৎ নাগরিকদের স্বার্থেই স্কুল খুলতে হবে। শুরু করতে হবে পঠন-পাঠন।
বিশেষজ্ঞরা কেন স্কুল খোলার পক্ষে এদিন জোরদার সওয়াল করলেন? স্বাস্থ্যভবনের যুক্তি, স্কুলে যেতে না পেরে ইতিমধ্যে ছোটদের জীবন থেকে দুটি মূল্যবান বছর চলে গিয়েছে। তারা বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে পারছে না। খেলাধুলা প্রায় বন্ধ। এর ফলে মানসিক বিকাশ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিদেশের শিক্ষাবিদ ও শিশুমন বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁরাও বলছেন, শিশু-কিশোর-কিশোরীদের মানসিক বিকাশের জন্য স্কুলে যেতেই হবে। ভারত তথা পশিমবঙ্গ তার বাইরে নয়। তাই অতিমারীকে সামনে রেখে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার কোনও প্রশ্ন নেই।
বিশেষজ্ঞদের আরও অভিমত, করোনা সংক্রমণ রুখতে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১৫-১৮ বছরের পড়ুয়াদের টিকা শুরু হয়েছে। আগামিদিনে ১২-১৫ বছরের টিকাকরণ শুরু হবে। তাই করোনা ভাইরাসকে ভয় পেয়ে পঠনপাঠন বন্ধ রাখার দরকার নেই। এদিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে স্বাস্থ্যকর্তা-সহ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অংশ নেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.