শুভদীপ রায় নন্দী, শিলিগুড়ি: আবারও রাজনৈতিক মহলে করোনার থাবা। এবার আক্রান্ত শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য (Ashok Bhattacharya)। মাটিগাড়ার কোভিড হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁকে। এদিকে, বিকেলের দিকে শরীর সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে তাঁকে ফোন করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগছিলেন তিনি। জানা গিয়েছিল তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। হাসপাতালে চিকিৎসাও চলছিল তাঁর। তবে তিনি করোনাতেও আক্রান্ত হয়েছেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে। তাই তিন-চারদিন আগে তাঁর কোভিড টেস্ট করা হয়। তবে সেই সময় তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। মঙ্গলবার থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়। তাই মাটিগাড়ার নার্সিংহোমে আবারও তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেখান থেকে নমুনা পরীক্ষার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। বুধবার রিপোর্ট আসে। তাতেই জানা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত। বর্তমানে মাটিগাড়ার নার্সিংহোম থেকে তাঁকে কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।
লকডাউনে কারও কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা, তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছেন অশোক ভট্টাচার্য। দুস্থদের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন খাবারদাবার। তার ফলে অনেক সময় করোনার আতঙ্ককে দূরে সরিয়ে একাধিক কনটেনমেন্ট জোনেও দলের কাজে ঘোরাফেরা করেছেন। কনটেনমেন্ট জোনে অবাধে ঘোরাফেরার ফলেই তাঁর শরীরে করোনা থাবা বসিয়েছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। তাঁর সংস্পর্শে কারা এসেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খোঁজ মিললেই তাঁদেরও পাঠানো হবে কোয়ারেন্টাইনে। এদিকে, বিকেলের দিকে তাঁকে ফোন করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পুরভবনে বসে ফোনে বেশ কিছুক্ষণ অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। শরীর কেমন আছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেন মন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.