আহিরীটোলা কাণ্ডে ধৃত ফাল্গুনী ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: পিসিশাশুড়িকে খুনের পর খণ্ড খণ্ড দেহাংশ ট্রলিব্যাগে ভরে দেহ লোপাটের চেষ্টাই নয়। এর আগে শিলিগুড়িতে মামাশ্বশুরের বাড়ি থেকে চুরিও করেছিল মধ্যমগ্রামের ফাল্গুনী ঘোষ। সেই সময় জেলও খেটেছিল সে। জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর মধ্যমগ্রামে নিজের বাড়ি ফেরে।
অসমে শ্বশুরবাড়ি ফাল্গুনীর। বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তার। তবে ২০২১ সালে দাম্পত্য সম্পর্ক ঠিকই ছিল। সে বছর জুলাই মাসে শিলিগুড়ির সুভাষপল্লিতে মামাশ্বশুরের বাড়িতে যায় ফাল্গুনী। সঙ্গে ছিল তার স্বামী। মাসখানেক ছিল দুজনে। বাড়ি ফেরার পর মামাশ্বশুর দেখেন তাঁর আলমারি থেকে উধাও চেন-সহ সোনার বেশ কিছু গয়নাগাটি। নগদ ২৫ হাজার টাকাও পাওয়া যাচ্ছিল না।
এরপর ১৩ আগস্ট শিলিগুড়ি থানার দ্বারস্থ হন মামাশ্বশুর। তদন্তে নেমে পুলিশ ফাল্গুনী ও তার স্বামীকে জিজ্ঞাসাাবাদ করা হয়। টানা জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়ে ফাল্গুনী। চুরির কথা স্বীকার করে নেয় সে। সেই সময় চারদিন জেল হেফাজতে ছিল ফাল্গুনী। পরে জামিনে মুক্তি পায়। মামলাকারীর আইনজীবী সেদিন দাবি করেন, ফাল্গুনী অপরাধমনস্ক। খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টার অপরাধ সামনে আসার পর সেকথাই যেন সত্যি হল। বর্তমানে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে আর সম্পর্ক নেই ফাল্গুনীর। তার ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন ভাসুর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.