Advertisement
Advertisement
South Dinajpur

লোনের নামে কোটি টাকার সাইবার প্রতারণা, দক্ষিণ দিনাজপুরে মূলচক্রী-সহ গ্রেপ্তার ৩

ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য পেতে চাইছে পুলিশ।

Cyber ​​fraud worth crores of rupees, 3 arrested in South Dinajpur

সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র

Published by: Suhrid Das
  • Posted:April 30, 2025 6:02 pm
  • Updated:April 30, 2025 6:02 pm  

রাজা দাস, বালুরঘাট: ফোন করে লোন পাইয়ে দেওয়া-সহ একাধিক প্রলোভন দেখানো হত। সাধারণ মানুষের থেকে গুরত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে তারপর চলত প্রতারণা। প্রতারিত হচ্ছেন, বোঝার আগেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ওইসব ব্যক্তির টাকা কার্যত লুট হয়ে যায়। দীর্ঘ দিন ধরে চলছিল এই সাইবার প্রতারণা। তদন্তে নেমে বড় সাফল্য পেল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ। প্রতারণাচক্রের ২ মূলচক্রী-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোটি টাকার বেশি প্রতারণা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে খবর।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ আসছিল। ভুয়ো ফোনকলের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে লোন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলা হত। এছাড়াও একাধিক আর্থিক প্রলোভন দেওয়া হত। সেই ফাঁদে পড়লেই ওইসব ব্যক্তিদের ব্যাঙ্কের কাগজপত্র, চেক, বিভিন্ন তথ্যের কাগজ নেওয়া হত। লোন পাওয়া তো দূরের কথা, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঞ্চিত অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হত। জেলা পুলিশ ও সাইবার ক্রাইমের আধিকারিকরা তদন্তে নেমে একাধিক সংগ্রহ করতে থাকেন। সেই সূত্র ধরে গতকাল মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর শহরে হানা দেয় পুলিশ। একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাকিবুল ইসলাম, মোক্তার ইসলাম নামে দুই ব্যক্তিকে। তারা সম্পর্কে দুই ভাই বলে খবর।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চক্রের অন্যতম দুই পাণ্ডা তারা। ধৃত দুই ব্যক্তির বাবা গোলাপ ইসলামও এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। ওই ব্যক্তি পলাতক। এছাড়াও গঙ্গারামপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রুপান্তরকামী রত্না রায়কেও। ধৃতদের থেকে একটি ল্যাপটপ, ২২টি মোবাইল, ১টি পাসপোর্ট, ৯০টি সিম কার্ড, ১৯টি ডেবিট কার্ড ৮টি প্যান কার্ড এবং ৪টি ব্যাঙ্কের পাসবই উদ্ধার করেছে পুলিশ। বেশ কয়েক বছর ধরে ওই প্রতারণাচক্র চলছিল। এই চক্র বেশ কিছু মানুষকে টাকা দিয়ে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিত বলে অভিযোগ। প্রতারণার টাকা ভাগ করে ওইসব অ্যাকাউন্টে রাখা হত বলে খবর। সেজন্য তাদের হাতেনাতে ধরা যাচ্ছিল না। একাধিক তথ্য হাতে আসার পরই পুলিশ এই অভিযান চালায়। শুধু দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাই নয়, বিহার, ঝাড়খণ্ডেও প্রতারণাচক্র চলত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। প্রতারণার টাকা কোথায় রাখা আছে? ভিন রাজ্যে পাঠানো হয়েছে কীনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে। সেই কথা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement