ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষমতায় নেই বহু বছর। তবে কর্ম সক্রিয়তায় কান্তি এখনও কান্তিই! প্রবাদ সত্যি করে এবারও ঘূর্ণিঝড় ডানা দাপট দেখানো শুরুর আগেই সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে গেলেন প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। ঘুরে দেখলেন নদী বাঁধ এলাকা। কথা বললেন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে।
সময় যত এগোচ্ছে, বাড়ছে হাওয়ার বেগ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৃষ্টিও। ‘ডানা’র(Cyclone Dana) দাপটে দুর্যোগের আশঙ্কায় প্রহর গুনছে বাংলা ও ওড়িশার উপকূল অঞ্চলের বাসিন্দারা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকলক্ষ মানুষকে সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। জেলায় জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল, ডাক্তার থেকে অ্যাম্বুল্যান্স। দুর্যোগের আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার সকালেই সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। ঘুরে দেখলেন নদী বাঁধ এলাকা। কথা বললেন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন, তা বোঝালেন স্থানীয়দের।
প্রসঙ্গত, আজ, বৃহস্পতিবার রাতেই ধামরা বন্দর ও ভিতরকণিকার মাঝে ল্যান্ডফল হওয়ার কথা ঘূর্ণিঝড় ডানার। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। বাংলায় যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলায় সবচেয়ে বেশি থাকবে ঝড়ের গতিবেগ। প্রতি ঘণ্টায় ১১০-১১০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিমি। বিপদ এড়াতে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলীয় (দিঘা, শংকরপুর, তাজপুর, মন্দারমনি) এলাকায় ২৩-২৫ অক্টোবর পর্যন্ত নতুন করে হোটেলে বুকিং নেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পূর্ব মেদিনীপুর প্রশাসন। সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.