ব্রতীন দাস : সাপও মরবে, অথচ লাঠিও ভাঙবে না। এই সমীকরণেই কি খেলতে চাইছিলেন গুরুংরা? তবে বৃহস্পতিবারের পর বলতে হয়, সেই স্ট্র্যাটেজিতে নিজেরাই ফাঁসছেন একটু একটু করে। এদিন কালিম্পংয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। নিজেদের সহযোগী দলগুলি সমেত অন্যান্য মোট ১৩টি দল শামিল হয় সেই বৈঠকে। সাড়ে পাঁচ ঘন্টা ধরে চলে বৈঠক। সেখানেই বনধ জারি রাখা নিয়ে বেশ চাপে পড়ে মোর্চা। জিএনএলএফ, জাপ- সহ বেশ কয়েকটি দল বনধ তুলে নেওয়ার পক্ষে মত দেয়। পাহাড়ের জনজীবন বিপর্যস্ত করে বনধ জারি না রাখার সমর্থনেই সরব হয় দলগুলি। যেহেতু মোর্চা এই বনধ ডেকেছে, তাই মোর্চাকেই তা প্রত্যাহার করতে হবে বলে বৈঠকে জানায় অন্যান্য দলগুলি।
তবে মুখ পোড়াতে রাজি নয় মোর্চা। তাই বনধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তেই অনড় তারা। ফলে এদিনের বৈঠকে বেশকিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। পাশাপাশি, এই বৃহস্পতিবারের বৈঠকে কেন বিমল গুরুং কেন উপস্থিত ছিলেন না, তার কৈফিয়ত তলব করা হয়। মোর্চার প্রতিনিধি ও গুরুংয়ের অন্যতম সহযোগী বিনয় তামাংকে কার্যত অসহায় দেখাচ্ছিল সহযোগী দলগুলির প্রশ্নের সামনে। মো্র্চা সুপ্রিমো না আসায়, কড়া সমালোচনা করা হয় এদিনের সর্বদলীয় বৈঠকে।
অন্যদিকে, এদিনই জিটিএ-র দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন বিমল গুরুং। তাঁর পদত্যাগপত্র রাজ্য গ্রহণ করেছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। তবে জিটিএ-র মেয়াদ শেষ হওয়ায় মুখে বিমল গুরুংয়ের পদত্যাগপত্র পাঠানোর বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না বিভিন্ন মহল। রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পাহাড়ে কখন নির্বাচন হবে, তা রাজ্য ঠিক করবে। নবান্নের আরও অভিযোগ কোটি কোটি টাকা দেওয়া হলেও, পাহাড়ে কোনও উন্নয়ন হয়নি। এদিকে, বর্ধমানের প্রশাসনিক সভা থেকে ফের একবার বাংলাকে ভাগ না হতে দেওয়ার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.