ধীমান রায়, কাটোয়া: ভাগাড় কাণ্ডের পর এবার মরা পাখির মাংস পাচারের নতুন রহস্য ফাঁস হল কাটোয়ায়। চোরাকারবারীদের কাছ থেকে লুকানো প্রায় ২০টি মরা পাখি উদ্ধার করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের কাছ থেকে বাদুড়ও পাওয়া গিয়েছে। নিপা ভাইরাস নিয়ে যখন দেশজুড়ে সতর্কতা চলছে, তখন এভাবে মরা বাদুড় উদ্ধার হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িযেছে এলাকায়। ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
[ পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধির জের, জুন থেকেই বাড়তে পারে বাস-ট্যাক্সির ভাড়া ]
কলকাতায় ভাগাড় কাণ্ডের পর থেকে মরা পশুপাখির মাংস নিয়ে উঠে আসছে নানা তথ্য। সচেতন হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় দুজন পাখি শিকারি দাঁইহাট রেলস্টেশনের কাছে ঘোরাঘুরি করছিল। তাদের কাছে ছিল দুটি বড় ব্যাগ। দু’জন অপরিচিত ব্যক্তিকে ঘোরাফেরা করতে দেখে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে স্থানীয়রা। কিন্তু ওই দুজনের কথায় অসঙ্গতি ছিল। ওই দুই পাচারকারীকে কথাবার্তার সময় ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে দেখা যাচ্ছিল দাঁড়িপাল্লা। দাঁইহাটের বাসিন্দা অর্জুন চোধুরি, নকুল দাসরা বলেন, “আমরা ওই অপরিচিত দুজনকে লক্ষ্য করে দেখি তাদের ব্যাগের ফাঁক দিয়ে পাখির পালক আর দাঁড়িপাল্লা দেখা যাচ্ছে। তখন এদের আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। কথা বলতে বলতেই ওরা ব্যাগ ফেলে পালায়। ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে মরা পাখিগুলো উদ্ধার হয়।” কাটোয়া মহকুমা বন আধিকারিক নকুল সৌমণ্ডল বলেন, “স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে আমরা বেশ কয়েকটি মরা পাখির দেহ উদ্ধার করেছি। সেগুলি মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে।” স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই চক্র বিভিন্ন এলাকায় পাখি শিকার করে তাদের মাংস বিভিন্ন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে সরবরাহ করে।
[ শিয়রে পুরভোট, বালুরঘাটে ভবঘুরেদের জন্য তৈরি হচ্ছে আবাসন ]
স্থানীয়রা আরও জানিয়েছেন, মরা পাখিগুলির মধ্যে ছিল পায়রা, বক, শামুকখোল। এমনকী দুটি বাদুড়ও পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিপা ভাইরাস নিয়ে যেখানে দেশজুড়ে সতর্কতা চলছে সেখানে বাদুড়ের মাংসও পাচার করা হচ্ছে। অর্জুনবাবু বলেন, “মরা পাখিগুলো ও বাদুড়ের দেহ পাওয়ার পর আমরা বন দপ্তরে খবর দিই।”
কাটোয়া মহকুমাশাসক সৌমেন পাল জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি বন দপ্তরে ও স্থানীয়দের কাছে খোঁজখবর নেবেন।
ছবি- জয়ন্ত দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.