বাবুল হক, মালদহ: আমবাগান থেকে উদ্ধার হল অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবতীর দেহ। অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেহটি পাওয়া যায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন ছিল। এবং নিথর দেহের পাশেই পড়েছিল ব্যবহৃত একটি কন্ডোম। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশের সন্দেহ, ওই যুবতীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় শনিবার সকালে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় মালদহের মানিকচক থানার কামালপুর এলাকায়।
মানিকচক-রতুয়া রাজ্য সড়ক থেকে সামান্য দূরের একটি আমবাগানে দেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশ পৌঁছে ঘটনার সরেজমিন তদন্ত শুরু করে। পরে এদিন বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া এবং জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) দীপক সরকার। পুলিশ গুরুত্ব সহকারে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সুপার জানান, মৃতার পরিচয় জানতে বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আমবাগান হচ্ছে নির্জন এলাকা।
এদিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসে যুবতীর অর্ধনগ্ন রক্তাক্ত মৃতদেহটি। ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকাজুড়ে। খবর পেয়ে ছুটে আসে মানিকচক থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে এলাকাটি ঘিরে দেয়। যাতে কোনও তথ্য ওলটপালট না হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মৃত যুবতীর মুখে ও দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। দেহের পাশে পড়েছিল যুবতীর জুতো, কাপড়, ব্যাগ-সহ সাজগোজের নানান সামগ্রী। এমনকী ব্যবহার করা কন্ডোম পড়েছিল দেহের পাশেই। তা দেখে স্থানীয়দের অনুমান, যুবতীকে ধর্ষণ করার পরই খুন করা হয়েছে। যদিও ওই যুবতীর পরিচয় জানা এখনও সম্ভব হয়নি।
সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জেলা পুলিশের সদর ডিএসপি প্রশান্ত দেবনাথ ও থানার আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নমুনাও সংগ্রহ করেছে। যুবতীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ। সম্প্রতি মালদহের ইংলিশবাজার থানার কোতোয়ালি এলাকায় এক যুবতীকে পুড়িয়ে খুনের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার রহস্য উন্মোচন করতে পুলিশের দেরি হয়নি। এই ঘটনা ফের চিন্তায় ফেলল পুলিশ কর্তাদের। পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.