ছবি: প্রতীকী
বিক্রম রায়, কোচবিহার: করোনায় (Coronavirus) মৃতের দেহ মর্গ থেকে কে বের করবে? কে তুলবে অ্যাম্বুল্যান্সে? তা নিয়ে টানাপোড়েন থেকে অব্যাহতি পেতে শেষমেশ স্বয়ং ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দেহ তুলে দিলেন অ্যাম্বুল্যান্সে। অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের পাশে দাঁড়িয়ে সারলেন সৎকার। ঘটনাটি কোচবিহারের। কেন এগিয়ে এলেন না কোনও স্বাস্থ্যকর্মী? সে বিষয়ে মুখ খোলেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবক শিলিগুড়ির (Siliguri) রেলগুমটির বাসিন্দা। দিনসাতেক আগে পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন তিনি। প্রথমে তাঁকে ভরতি করা হয় শিলিগুড়ি হাসপাতালে। সেখানে তাঁর করোনা পরীক্ষাও হয়। তবে রিপোর্ট আসার আগেই অবস্থার অবনতি হওয়ার তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কোচবিহারে (Cooch Behar)। পথেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। এরপর জানা যায়, তিনি কোভিড (COVID) পজিটিভ ছিলেন। সেই কারণেই তাঁর দেহ কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের মর্গে রাখা হয়। সোমবার রাতে সৎকারের জন্য মর্গ থেকে দেহ বের করার সময়ই সমস্যার সূত্রপাত। সূত্রের খবর, দেহ বের করার জন্য কোনও স্বাস্থ্যকর্মীই এগিয়ে আসেননি। এরপর বাধ্য হয়েই ময়দানে নামেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। দুই সিভিল ডিফেন্স কর্মীর সহযোগিতায় তিনি ওই যুবকের মৃতদেহ তুলে দেন অ্যাম্বুল্যান্সে।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তবে এবিষয়ে এসডিও সঞ্জয় পাল বলেন, “বরাবরই পুরসভা-হাসপাতালের তরফে সহযোগিতা পাচ্ছি। গতকাল বিশেষ কারণে সমস্যা দেখা দেওয়ায় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে দেহ তুলতে হয়েছিল। সহযোগিতা করা হচ্ছে না এমন কোনও অভিযোগ নেই। ” উল্লেখ্য, করোনা কালে অনেকক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের দ্বারা হেনস্তার শিকার হচ্ছেন সংক্রমিত ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কোথাও আবার পরিষেবাই পাচ্ছেন না তাঁরা। আবার উলটো ছবিও নেহাত কম নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.