সম্যক খান, মেদিনীপুর: এবার স্কুলের পানীয় জলের ট্যাঙ্কে মিলল মরা টিকটিকি ও আরশোলা। তা নিয়েই শুরু হয়েছে শোরগোল। কবে থেকে টিকটিকি মরে পড়ে রয়েছে স্বাভাবিকভাবেই তা জানেন না কেউ। ফলে সেই জলই দিনের পর দিন পান করেছে স্কুলের পড়ুয়া থেকে শুরু করে সাধারণ গ্রামবাসীরাও। ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর শহর থেকে মাত্র আট কিলোমিটার দূরে পাথরা জুনিয়র হাইস্কুলে।
জানা গিয়েছে, ওই স্কুলে একটি সৌরবিদ্যুৎ চালিত সাবমার্সিবল পাম্প ছিল। আর স্কুল চত্বরে সজলধারা প্রকল্পের দুটি ট্যাঙ্ক আছে। কিন্তু গত জুন মাস থেকে সাবমার্সিবল পাম্পটি খারাপ হয়ে পড়ে আছে। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই সজলধারা প্রকল্পের ট্যাঙ্কের জলই পান করছে স্থানীয় প্রাথমিক ও জুনিয়র হাইস্কুলের প্রায় ৫০০ পড়ুয়া ও গ্রামবাসীরা। বুধবার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীরা ওই ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের কাজে নামে। আর তখনই চক্ষু চড়কগাছ সকলের। ট্যাঙ্কের ভিতর মেলে মরা টিকটিকি, আরশোলা ও আরও পোকামাকড়। কতদিন ধরে সেগুলি মরে পড়ে আছে তা কেউ জানে না। ফলে দিব্যি সকলেই সেই জল পান করে যাচ্ছে।
টিচার-ইন-চার্জ উজ্জ্বলবাবু বলেছেন, সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাম্পটি খারাপ হয়ে যাওয়ার পর পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে ব্লক এমনকী জেলা প্রশাসন স্তরেও জানানো হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। গুরুত্ব দেয়নি গ্রাম পঞ্চায়েতও। সজলধারা প্রকল্প থেকে দুটি ট্যাঙ্ক থাকলেও সেখানে সময়ে সময়ে জল ছাড়া হয়। দুপুরের পর বেশীরভাগ দিনই জল থাকে না। ফলে রান্নাবান্না থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীদের পানীয় জলের ক্ষেত্রেও সমস্যার সৃষ্টি হয়। স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ছাত্রছাত্রীদের ওই ট্যাঙ্কের জল খেতে বারণ করে বাড়ি থেকে জল আনতে বলা হয়েছে। পাথরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ভারতী সিং বলেছেন, “টিচার-ইন-চার্জ ফোন করে সমস্যার কথা বলেছেন। দ্রুত পাম্পটি মেরামতির কাজ শুরু হবে। এ নিয়ে ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগাযোগও করা হচ্ছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.