ছবি: প্রতীকী
স্টাফ রিপোর্টার: ফের বেলুড় রেলের ঝিল থেকে উদ্ধার হল মহিলার দেহ। মাত্র ১০ দিন আগে একই জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার দেহ। একই ঝিল থেকে পরপর দুই মহিলার দেহ উদ্ধার হওয়ায় রহস্য দানা বাঁধছে।
রবিবার দেহটি উদ্ধারের পর মহিলাকে শনাক্ত হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সুশীলা দেবীর (৪০)। তাঁর স্বামী আরপিএফ কর্মী। হাওড়ায় কর্মরত। রাঁচির বাসিন্দা হলেও বিধানপল্লিতে ভাড়া থাকতেন তাঁরা। দেহটি যে ঝিল থেকে উদ্ধার হয়েছে তার পাশেই রয়েছে আরপিএফের বারাক। সম্পুর্ণ সংরক্ষিত এলাকা থেকে বারবার মহিলাদের দেহ উদ্ধার হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই এলাকায় আমজনতার প্রবেশ নিষিদ্ধ। কিন্তু তারপরেও অবাধে মানুষজন সেখানে ঢুকে পড়ে।
[আরও পড়ুন: দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ নামল ৫০ হাজারের নিচে, ভোটপ্রচারে আরও ছাড় কমিশনের]
এদিন সকালে স্থানীয়রা দেখতে পান ঝিলে এক মহিলার দেহ ভেসে উঠেছে। এরপরেই বেলুড় থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। পরে তা শনাক্তও করে। পুলিশ জানিয়েছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন সুশীলাদেবী। মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসাও চলছিল বলে পুলিশ জেনেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করেছে। তবে সবদিক খোলা রেখে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে তারা।
এদিকে পরপর একই জায়গা থেকে মহিলার দেহ উদ্ধারে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আরপিএফ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ঝিল চত্বরে বাইরের মানুষ ও গাড়ি ঢোকা সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ করা হবে। পাশাপাশি সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য নজর রাখবে আরপিএফ। এদিকে চত্বরটি বেলুড় স্ক্র্যাপ ইয়ার্ডের আওতায় পড়ে। ফলে দুষ্কৃতীদের অবাধ আনাগোনা বলে অভিযোগ। স্ক্র্যাপ ইয়ার্ডের এলাকাটি সম্পূর্ণ জঙ্গলে ঘেরা। ফলে অপরাধ করে দুষ্কৃতীরা সহজেই গা ঢাকা দেয় বলে অভিযোগ। আরপিএফ কর্তৃপক্ষ বিষয়গুলি খতিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘হিজাব পরা মহিলাই একদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন’, চ্যালেঞ্জ ওয়েইসির]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.