সম্যক খান মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরে কাঁসাই নদীর চর থেকে অস্ত্র উদ্ধার। সদর ব্লকের কঙ্কাবতী গ্রামে নদীর চরে বালি খাদান থেকে ৯টি ভক্সিল উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য, বারুদে গোলা ছোঁড়ার জন্য লম্বা লোহার লম্বা রড বা ভক্সিল ব্যবহার করা হয়। ঘটনার তদন্তে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। গ্রামবাসীদের একাংশেের অভিযোগ, একসময়ে কঙ্কাবতী গ্রামে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ক্যাম্প ছিল। ওই দুষ্কৃতীরাই সম্ভবত এই ভক্সিলগুলি মাটি পুঁতে রেখেছিল।
[বিহারে কাজে গিয়ে রহস্যমৃত্যু এরাজ্যের তিন যুবকের]
মেদিনীপুর সদর ব্লকের কঙ্কাবতী গ্রাম। গ্রামের খুব কাছ দিয়েই বয়ে গিয়েছে কাঁসাই নদী। নদীর চরে রয়েছে একাধিক বালি খাদান। খাদানের শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন গ্রামের অনেকেই। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে বালি খাদানে কাজ করার সময়ে লোহার বেশ কয়েকটি লম্বা রড দেখতে পান তাঁরা। খবর দেওয়া হয় কোতোয়ালি থানায়। তল্লাশি চালিয়ে ওই বালি খাদান থেকে ৯টি লোহার লম্বা রড উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই লোহার রডগুলিকে ভক্সিল বলা হয়। বারুদে গোলা ছোঁড়ার জন্য এই রডগুলি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু, কাঁসাই নদীর চরে বালি খাদানে ভক্সিল কোথায় থেকে এল? তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। গ্রামবাসীদের একাংশের বক্তব্য, ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছিল। বিভিন্ন গ্রামে ক্যাম্প করে থাকত তারা। এই কঙ্কাবতী গ্রামেও সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ক্যাম্প ছিল। ২০১১ সালে পালাবদলের পর, দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। কিন্তু, তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রগুলি গ্রামেই রয়ে যায়। উদ্ধার হওয়া ভক্সিলগুলি সম্ভবত ওই দুষ্কৃতীরাই ব্যবহার করত।
[ছেলে না হওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা স্বামীর, চাঞ্চল্য রানাঘাটে]
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে এই কঙ্কাবতী গ্রামে সিপিএমের দলীয় কার্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
ছবি: নিতাই রক্ষিত
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.