দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: অজানা পোকার কামড়ে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। এর জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন হুগলি জেলার বৈদ্যবাটির বাসিন্দারা। মৃতের নাম সুদীপা নন্দী(৩২)। বাড়ি বৈদ্যবাটির বৈদ্যপাড়ায়। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খুঁজে দেখার জন্য পরিবারের দাবি মেনে বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে ওই গৃহবধূর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুদীপার স্বামী সুজয় নন্দী সিআরপিএফে কর্মরত। কর্মসূত্রে তিনি কাশ্মীরে থাকেন। সম্প্রতি কার্তিক পুজো উপলক্ষে বৈদ্যবাটির বাড়িতে এসেছিলেন। ওই দম্পতির তিন বছরের একটি ছেলেও আছে। গত ১৩ নভেম্বর দুপুরে রান্না করার সময়ে ওই গৃহবধূকে একটি অচেনা পোকা কামড়ায়। পরে শরীরে যন্ত্রণা শুরু হলে তিনি স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে যান। কিন্তু, ওই চিকিৎসক না থাকায় তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। তারপর বেশ কয়েকবার বমি করেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে আর কোনও ঝুঁকি নেননি পরিবারের লোকজন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভরতি করেন। সেখানে একটানা সাত দিন চিকিৎসার পর বুধবার দুপুরে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর শরীরের রক্ত এতটাই দূষিত হয়ে গিয়েছিল যে রক্ত বদলাতে করতে হয়েছিল। শুধু তাই নয়, চিকিৎসকরা ওই গৃহবধূর চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে বিদেশে বসবাসকারী ডাক্তার বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করে মেডিক্যাল বোর্ডও বসিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে বুধবার দুপুরে মারা যান সুদীপাদেবী। চিকিৎসকরা ধন্দে রয়েছেন কী এমন রহস্যজনক বিষাক্ত পোকা তাঁকে কামড়াল যার বিষক্রিয়ায় শরীরের রক্ত দূষিত হয়ে গেল।
কার্তিক পুজো উপলক্ষে বাড়িতে এসে এরকমভাবে স্ত্রীকে হারাতে হবে তা কল্পনাতেও ভাবেননি সুজয় নন্দী। তাই স্ত্রীর মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার মৃতদেহটির ময়নাতদন্ত হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বছর দুই আগে হুগলির চণ্ডীতলার এক ব্যক্তি বিষাক্ত মাকড়সার কামড়ে মারা গিয়েছিলেন। তারপর ফের বিষাক্ত পোকার কামড়ে মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্কিত বৈদ্যবাটির মানুষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.