ছবি: মোহন সাহা
রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: হাসপাতালের দেওয়ালে কোথাও সিদ্ধিদাতা তো কোথাও মা কালী। কোথাও লক্ষ্মী-নারায়ণ তো কোথাও আবার ভোলা মহেশ্বর। পাথরের টাইলসে উজ্জ্বল এই সব দেব-দেবীরা হাত তুলে বরাভয় দিচ্ছেন। বাদ যায়নি মসজিদের ছবিও। হাসপাতালের দেওয়াল পান-গুটখার পিক থেকে বাঁচাতে এবার ঠাকুর দেবতার শরণ নিয়েছে কালনা মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের আশা, দেওয়ালে দেবদেবীর ছবি দেখে অন্তত শুভবুদ্ধির উদয় হবে রোগীর পরিজনদের। দেওয়ালে পান কিংবা গুটখার পিক ফেলবেন তাঁরা। পরিষ্কার থাকবে হাসপাতাল চত্বর।
[‘থাবড়ে মুখ ভেঙে দেব’, প্রধান শিক্ষককে হুমকি মহকুমাশাসকের]
পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমা হাসপাতালে রোগীর ভিড় লেগেই থাকে। আর রোগীদের ভিড় যত বাড়তে থাকে, হাসপাতালের পরিষ্কার দেওয়াল ততই অপরিচ্ছন্ন হয়ে ওঠে। হাসপাতালে দেওয়ালে গুটখা কিংবা পানের পিক ফেলেন রোগীর পরিবারের লোকেরা। ফলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাসপাতালের দেওয়াল শৌচাগারের দেওয়ালের মতোই অপরিষ্কার চেহারা নেয়। প্রতিটি দেওয়ালে দাগের সঙ্গে বাড়তি পাওনা দুর্গন্ধ। হাসপাতালের বাইরের দেওয়ালের মতোই নোংরা হয়ে যায় চিকিৎসকদের ঘরের দেওয়াল। হাসপাতালে সচেতনতার পোস্টার থেকে সিসিটিভি ও নিরাপত্তারক্ষীদের নজরদারি। দেওয়াল পরিষ্কার রাখতে চেষ্টার কসুর করেনি কালনা মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অগত্যা এখন ভরসা দেব-দেবীরাই।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগেই মেঝেতে টাইলস বসিয়ে বর্হিবিভাগ ও মেডিসিন বিভাগ ঝকঝকে করা হয়েছিল। আশপাশ পরিষ্কার রাখার জন্যও রাখা হয়েছে ডাস্টবিন। কিন্তু কিছুদিন যেতেই দেওয়ালের অবস্থা যে কে সেই! নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। কালনা মহকুমা হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বড়াইয়ের যুক্তি, “সব ধরনের চেষ্টা করেও মানুষকে সচেতন করা যায়নি। যেখানে রোগী দেখাতে আসছে, সেখানেই নোংরা করছে। ডাস্টবিন বসানো হলেও বেশিরভাগ মানুষই তা ব্যবহার করেন না। যা নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদেরও নজরদারির কথা বলা বলেছে। তবে এখনও জরিমানা করার কথা ভাবা হচ্ছে না। মানুষজন বিভিন্ন ধর্মকে মানেন। তাই আপাতত হাসপাতালের বাইরের দেওয়ালে মন্দির মসজিদের ছবি বসেছে। যদি এই সব ছবি দেখে দেওয়ালে পিক ফেলা বন্ধ হয়। এক সাফাই কর্মীর বক্তব্য, ‘প্রায়ই এই দেওয়াল থেকে পান-গুটখার পিক পরিষ্কার করা হয়। তবুও মানুষ শিক্ষা নিচ্ছেন না।’
[ রাতভর পাহাড় কেটে জাতীয় সড়ক সংস্কার পূর্ত দপ্তরের কর্মীদের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.